• মিড ডে মিল থেকে পানীয় জল, সমস্যায় জর্জরিত পাঠশালা
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: কোথাও টিনের ঘরে, আবার কোথাও বাঁশের চালের ঘরে চলছে রাজবংশী স্কুল। নেই মিড ডে মিলও। এমনকী স্কুলে নেই কোনও শৌচালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা। জলপাইগুড়ি জেলার ২০টির মতো রাজবংশী স্কুল নানান সমস্যায় ভুগছে। আর এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না অভিভাবকরা। বিষয়টি নিয়ে রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট  বোর্ড নিশ্চুপ বলে অভিযোগ। 

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশী ও কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমি করার পর ভাষা দু’টিকে ধরে রাখতে বেশকিছু রাজবংশী এবং কামতাপুরী স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। পরবর্তীতে ২০০টি রাজবংশী ও দু’টি কামতাপুরী স্কুলের অনুমোদন দেয় শিক্ষাদপ্তর। এই স্কুলগুলি দীর্ঘদিন ধরে তারা নিজেদের উদ্যোগে চালাচ্ছিল। জেলায় ২০টি রাজবংশী স্কুলের মধ্যে ময়নাগুড়িতে পাঁচটি, ধূপগুড়িতে আটটি এবং বাকি ব্লকে সাতটি স্কুল রয়েছে। এছাড়াও দু’টি কামতাপুরী স্কুলের একটি ময়নাগুড়ি ব্লকের রাজারহাটে এবং অপরটি ময়নাগুড়ির পানবাড়িতে। 

    এ বছরের শুরুতে স্কুলগুলিতে দু’জন করে শিক্ষক,দু’জন করে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করে শিক্ষাদপ্তর। একএকটি স্কুলে গড়ে ৩০ জন পড়ুয়া নিয়ে শুরু হয় মর্নিং শিফটে পঠনপাঠন। কিন্তু, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। কোথাও টিনের ঘরে আবার কোথাও বাঁশের বেড়ার ঘরে চলছে স্কুল। 

    একটি রাজবংশী স্কুলের শিক্ষিকা লতা রায় বলেন, আমরা চাই দ্রুত মিড ডে মিল চালু হোক। একেই কথা অভিভাবক বিধূভূষণ রায়ের। বলেন, পাশের সরকারি স্কুলে মিড ডে মিল হয়, পাকা ঘর রয়েছে। এই স্কুলগুলিতে সেইঅর্থে কিছুই নেই। পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে চাইছে না। 

    পরিকাঠামোর উন্নয়ন করলে ছাত্র সংখ্যা বাড়বে বলে অনুমান ধূপগুড়ির পূর্ব দুরামারি বিশ্ব মহাবীর চিলা রায় শিশু পাঠশালার প্রধান শিক্ষিকা নীলিমা রায়ের। তিনি বলেন, স্কুলে ৩৭ জন পড়ুয়া। ২০১২ সাল থেকে টিনের ঘরেই ক্লাস চলছে। প্রশাসন বিষয়টি দেখুক। 

    তবে একসময়ে স্কুলগুলি নিয়ে সোচ্চার হওয়া রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান বংশীবদন বর্মন বলেন, সরকার দেখলে দেখুক। না দেখলে নেই। অবশ্য খুব শীঘ্রই মিড ডে মিল চালুর আশ্বাস দিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) শ্যামলচন্দ্র রায়। বলেন, অতিদ্রুত মিড ডে মিল চালু হয়ে যাবে। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্যে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)