• ভাড়াবাড়িতে থেকে পরিষেবা দিচ্ছেন নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা, হাসপাতালের আবাসনের বেহাল অবস্থা
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দশ ফুট দূরেই নার্সদের পরিত্যক্ত আবাসন। সেই চারতলা ভবন এখন ‘ভূতুড়ে বাড়ি’। চারটি বিল্ডিং পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় সরকারি আবাসনের সুবিধা পাচ্ছেন না নার্স সহ অন্য স্বাস্থ্য কর্মীরা। তাঁরা টাকা দিয়ে অন্যত্র ভাড়াবাড়িতে থেকে হাসপাতালে পরিষেবা দিচ্ছেন। অবিলম্বে বেহাল ভবন ভেঙে নতুন করে নির্মাণের দাবি উঠেছে। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার সুমিত তালুকদার বলেন, আবাসনগুলি সংস্কারের জন্য পূর্তদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। পূর্ত দপ্তরের চাঁচলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সতীর্থ কর্মকার জানান, চারটি বিল্ডিং নির্মাণের প্রস্তাব এসেছে হাসপাতালের তরফে। তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি থেকে দপ্তরের কর্তারা এসে জায়গা পরিদর্শন করবেন। দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 

    চাঁচল গ্রামীণ হাসপাতাল শুরু হওয়ার পর থেকে তিনদশক আগে আবাসন ভবনগুলি নির্মিত হয়। সেখানে থেকেই নার্স সহ স্বাস্থ্য কর্মীরা হাসপাতালে পরিষেবা দিতেন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ২০১৪ সালে বিল্ডিং নির্মাণ করে সেখানে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালু করা হয়।

    চাঁচল মহকুমার ছয়টি ব্লকের মানুষ সেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবা পান। কিন্তু জরাজীর্ণ আবাসনগুলি আর সংস্কার হয়নি। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালু হওয়ার পরেও কয়েকজন নার্স আবাসনে থাকতেন। ভবনটি নড়বড়ে হওয়ায় পরে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই আবাসনগুলি পরিত্যক্ত রয়েছে। দ্রুত নতুন বিল্ডিং তৈরির দাবি জানিয়েছেন নার্সরাও। হাসপাতালে ১২০ জন নার্স কর্মরত। কিন্তু এখন তাঁদের আবাসনের কোনও ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালের এক নার্স বলেন, দূর থেকে এসে এখানে চাকরি করি। ভাড়াবাড়িতে থেকে কাজ করতে হয়। সরকারি আবাসন থাকলে কিছু টাকা বাঁচত। ফাঁকা বিল্ডিংগুলি দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে ওঠায় পূর্ত দপ্তর আবাসনের প্রবেশদ্বার ও জানালা ইট দিয়ে গেঁথে বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা অঙ্কুর দাসের অভিযোগ, আবাসনগুলির পাশ দিয়ে মানুষ চলাচল করেন। রোগীর পরিজনরা দিনে তারপাশে বিশ্রাম নেয়। যে কোনওসময় ভবনের একাংশ ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। 
  • Link to this news (বর্তমান)