• চাঁদার নামে কুলিক সেতু এলাকায় তোলাবাজি
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: মাঝরাতে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদার নামে জুলুমবাজির অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি রায়গঞ্জ শহরের। যা নিয়ে সরব হয়েছে মোহনবাটি বাজার ব্যবসায়ী সংগঠন। তাদের অভিযোগ, শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ মোহনবাটি বাজারে আসা  কাঁচা সব্জির গাড়িগুলোকে কুলিক সেতু সংলগ্ন ভাঙারাস্তা এলাকায় আটকানো হয়। তাদের থেকে চাঁদা বাবদ মোটা টাকা দাবি করা হয়। সংগঠনটির অভিযোগ, শুধু দু’একদিন প্রায়দিনই কিছু যুবক ভাঙারাস্তা এলাকায় এই কাজ করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনও এই ঘটনার সমালোচনা করেছে। সরব হয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও। মোহনবাটি বাজার বারোয়ারি পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিবেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘পুজো সহ বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটে অনেকেই চাঁদা তোলেন। কুলিক ব্রিজ সংলগ্ন ভাঙারাস্তাতেও সেটা হয়েছে। পুজো আসতে অনেক দেরি। তাই নানা ছুতোয় অনেকে তোলাবাজি করছে। পণ্যবাহী গাড়ি থামিয়ে পাঁচশো-সাতশো টাকা আদায় করা হচ্ছে। গাড়ি চালকরা আমাদের অভিযোগ জানিয়েছে। শনিবার রাতেও একই কায়দায় তোলাবাজি হয়েছে। বিষয়টিতে আমরা বিরক্ত। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানাব। এই ব্যাপারে রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ি বলেন, ‘মোহনবাটি বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের ব্যবসায়ীরা এ ব্যাপারে আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। রাস্তাঘাটে চাঁদা তোলা নিষিদ্ধ। তার উপর প্রতিদিনই নানা বাহানায় পণ্যবাহী গাড়ির থেকে টাকা তোলা হয়, তাতে নিত্য প্রয়োজনীয় সব্জি, মাছ, মাংসের দাম বাড়ে। শনিবার রাতেও কুলিক ব্রিজের কাছে ভাঙারাস্তা এলাকায় জোর করে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তোলা হয়েছে। এসব চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি হবে।'  ঘটনার সমালোচনা করেন জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তুষারকান্তি গুহ। তিনি বলেন, ‘একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, এ সবের পিছনে শাসকদলের লোকজন রয়েছে। এই আমলে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও পুলিস-প্রশাসন উদাসীনই হয়ে থাকে।' 
  • Link to this news (বর্তমান)