• আরজি করে কেস ধামাচাপা দিতে নির্যতিতার মাকে টাকার অফার পুলিশের, বিস্ফোরক চিকিৎসক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এবার সামনে এল আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ। রবিবার মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ফোরামের সদস্যরা। সেই সাক্ষাতের পরই চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বিস্ফোরক দাবি করলেন। তাঁর অভিযোগ, মৃতার মা তাঁদের জানিয়েছেন, কেসটি ধামাচাপা দিতে পুলিশের এক উচ্চ-পদস্থ আধিকারিক তাঁদের টাকা দিতে চেয়েছিলেন।

    এই বিষয়ে ডঃ সুবর্ণ গোস্বামী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'নির্যাতিতার পরিবার ক্ষুব্ধ কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ফোন করে জানান মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন। সেটা ওঁরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেননি। নিশ্চয়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধামাচাপা দেওয়ার কোনও বিষয় রয়েছে। নয়ত ওরা কেন আত্মহত্যার কথা বলেছিল? শুধু তাই নয়, মৃতার মা এটাও বলছেন, পুলিশের একজন পদাধিকারী ওনাদের টাকা-পয়সা অফার করেছিলেন। যা শুনে আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ধামাচাপা দেওয়ার না থাকলে টাকার অফার কেন করবেন? মৃতা মা এও আমাদের জানালেন, মেয়েটির তখন সৎকারও হয়নি সেই সময় টাকা পয়সা অফার করা হয়েছে। আর এখন বাড়ির লোক এই ঘটনাকে গণধর্ষণ বলে দাবি করছেন। এই ঘটনা একা করা সম্ভব নয়।'

    উল্লেখ্য, ট্রেনি চিকিৎসককে একাধিক ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে রিপোর্ট থেকে। এই আবহে কীভাবে একবারও সেই তরুণী চিৎকার করলেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই আবহে অনেকেরই অনুমান, সঞ্জয়ের সঙ্গে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল। এই আবহে হয়ত কেউ একজন নির্যাতিতার মুখ চেপে ধরে রেখেছিল। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এও দাবি করা হয়েছে, হামলাকারীর বিরুদ্ধে স্বভাবত যতটা প্রতিরোধ দেখানোর কথা ছিল, তরুণী তা দেখাতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে দু'টো সম্ভাবনার কথা সামনে আসছে। আন্দোলনকারী চিকিৎসদের দাবি, ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত, এবং সেই অন্য কেউ তরুণীকে ধরে রেখেছিলেন। অপরদিকে পুলিশ আপাতত অনুমান করছে, আগেই তরুণীকে খুন করা হয়, তারপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।

    পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আরজি করের চেস্ট বিভাগের সেমিনার হলে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছিল ভোর ৪টে থেকে সাড়ে ৪টের মধ্যে। তদন্তকারীরা জানান, যখন সঞ্জয় হামলা চালায়, তখন সেই চিকিৎসক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। টানা ডিউটির জেরেই তিনি অত্যন্ত ক্লান্ত ছিলেন বলে অনুমান পুলিশের। এদিকে ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, আক্রমণের সময় ওই মহিলার নিজেকে বাঁচাতে যতটা প্রতিরোধ করা স্বাভাবিক ততটা করতে পারেননি। এই নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পুলিশের অনুমান, মৃত্যুর পর সম্ভবত ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। এদিকে আরও একটি বিষয় নিয়ে পুলিশ ভাবনায় পড়েছে। হামলার সময় কি একবারও চিৎকার করতে পারেননি সেই নির্যাতিতা? যদি প্রথমে খুনের চেষ্টাও হয়ে থাকে, তাহলেও তো প্রতিরোধ করার বা সাহায্য চাওয়ার জন্যে চিৎকার করা স্বাভাবি। এদিকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ নাকি নির্যাতিতার মা-বাবাকে বলেছিল, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই আবহে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি রক্তাক্ত দেহ দেখে পুলিশ কীভাবে এবং কেন আত্মহত্যার দাবি করল প্রাথমিক ভাবে?
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)