• ভারী বৃষ্টির পরেই ভাঙন, নতুন করে সান্যালচরের ১৫ বিঘা জমি নদীগর্ভে
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কল্যাণী: কল্যাণী বিধানসভা এলাকার সান্যালচরে সারা বছরই কমবেশি নদী ভাঙন লেগে থাকে। বসতবাড়ি থেকে চাষের জমি, মন্দির, স্কুল সব কিছুই তলিয়ে গিয়েছে নদীর জলে। বিগত দিন কয়েকের ভারী বৃষ্টির পরেই নতুন করে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই দু’-একদিনের ভাঙনে ভাগীরথী নদীর প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পাড়ের প্রায় ১৫ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এর বেশিরভাগটাই কৃষিজমি। সেখানে কলাবাগান, ভেন্ডি, পাটচাষ সহ বহু ফসল ছিল। সবই নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন হচ্ছে মূলত কল্যাণী ব্লকের চাঁদুরিয়া-২ পঞ্চায়েতের হরিতলা মন্দির থেকে মালোপাড়া ঘাট পর্যন্ত। ওই এলাকায় রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট, যা নদীর দু’পাড়ের দুই জেলার ব‍্যবসা-বাণিজ‍্য সহ স্কুল-কলেজকে জুড়ে রেখেছে। সেই ফেরিঘাটও ভাঙনের কবলে। ফলে নিত‍্য যাতায়াত করা মানুষ চিন্তায়। ভাঙনের পর সেচদপ্তর থেকে এলাকা পরিদর্শন করা হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাঙন রোধে এখনও পর্যন্ত কোনও কাজ করা হয়নি। এই নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।

    এই বিষয়ে স্থানীয় বিশ্বাসপাড়ার এক কৃষক দীপক ভৌমিক বলেন, একের পর এক কৃষিজমি তলিয়ে যাচ্ছে। ঋণের বোঝা নিয়ে চাষ করার পর সেই জমি যদি নদীর ভাঙনে তলিয়ে যায়, তবে আমরা কোথায় যাব। ঋণ মেটাবো কীভাবে? আর নিজে পরিবার নিয়ে বাঁচবই বা কীভাবে? আরেক কৃষক রমেন বিশ্বাস বলেন, রীতিমতো খাজনা দেওয়া জমি ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে। আর নদীর অন্যদিকে চর জাগছে। কিন্তু সেই চরের জমিতে চাষের সুযোগ আমরা পাচ্ছি না। অথচ রেলের হকার, বা ফুটপাতের হকারদের উচ্ছেদ করা হলে, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারের আমাদের বিষয়টি দেখা উচিত। এই বিষয়ে নদীয়া জেলার এক আধিকারিক বলেন, ওই এলাকাগুলির ভাঙন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)