• ১০ হাজার লোকালে লাগানো হবে ‘কবচ’, উদ্যোগ রেলের
    এই সময় | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় পদক্ষেপের উদ্যোগ রেলের। চলতি বছর অক্টোবর থেকেই দেশের সব ক’টি রেলওয়ে জ়োন মিলিয়ে অন্তত ১০ হাজার ইএমইউ লোকালে রিসার্চ ডিজ়াইনস অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজ়েশন (আরডিএসও) অনুমোদিত অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস অর্থাৎ ‘কবচ’ প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থা বসানোর উদ্যোগ শুরু হবে বলেই রেল-সূত্রে খবর।২০২৩-এ ওডিশার বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পর থেকেই গোটা দেশে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কবচ প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থা বসানোর কাজ এত ঢিলেমি কেন? সেই দুর্ঘটনার পর এক বছর কাটতেই জুন থেকে অগস্টের মধ্যে পর পর কয়েকটি রেল দুর্ঘটনায় গোটা দেশেই নতুন করে কাঠগড়ায় ওঠে রেলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা।

    কবচের মতো অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস তৈরি করে ভারত বিভিন্ন দেশে সেই প্রযুক্তি জোগান দেওয়ার কথা ভাবছে অথচ দেশের ৭০ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ৩-৪ হাজার কিলোমিটার রেলপথে এই ব্যবস্থা চালু করা গিয়েছে। কেন এই উদাসীনতা—সেই প্রশ্নই গত কয়েক মাস ধরে জর্জরিত করেছে রেলের কর্তাদের। সংসদে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে রেলমন্ত্রীকে।

    শেষ পর্যন্ত কিছুটা ইতিবাচক খবর পাওয়া গিয়েছে রেল সূত্রে। রেলের রোলিং স্টক বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, দেশের সব ক’টি রেলওয়ে জ়োন মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৬ হাজার ইএমইউ লোকাল চলে। অক্টোবর থেকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিটা লোকালে কবচ বসানোর কাজ শুরু হবে। সেই মতো দরপত্র ডাকা হবে।

    আগামী দিনে যত ইএমইউ লোকাল তৈরি হবে, তার প্রতিটাতেই কবচ ব্যবস্থা ইনস্টল করার পর তবেই তা যাত্রী পরিবহণের কাজে লাগানো হবে। এর পাশাপাশি বছরে অন্তত ৫ হাজার কিলোমিটার রেলপথকে কবচ-সুরক্ষিত করার উদ্যোগ নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে রেল। রেলপথকে কবচ ব্যবস্থায় সুরক্ষিত করার প্রথম ধাপ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল দিল্লি-কলকাতা রুটকে।

    এ বার দিল্লি-মুম্বই, মুম্বই চেন্নাই এবং কলকাতা-চেন্নাই রুটেও কবচ প্রতিরক্ষা চালু করার কাজ শুরু হবে। তবে একই সঙ্গে রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, গোটা দেশের রেলপথকে দ্রুত কবচের আওতায় নিয়ে আসার পথে সব চেয়ে বড় বাধা হলো ভারতীয় রেলের বিপুল বিস্তার। যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া হয় বছরে ৫ হাজার কিলোমিটার রেলপথকে কবচ-সুরক্ষিত করা সম্ভব, তা হলেও গোটা দেশের রেলপথকে এই ব্যবস্থায় সুরক্ষিত করতে অন্তত ১৪ বছর সময় লাগবে।
  • Link to this news (এই সময়)