• পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত ডেডলাইন, না হলে সিবিআই তদন্ত, আরজি করের ঘটনায় কড়া মমতা...
    আজকাল | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় কড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এবার কলকাতা পুলিশকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন তিনি। সোমবার মৃত তরুণী চিকিৎসকের পানিহাটির বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সঠিক তদন্তের আশ্বাস দেন। বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘রবিরার পর্যন্ত সময় দিলাম। রবিবারের মধ্যে যদি পুলিশ কুলকিনারা করতে না পারে আমরা এই কেসটা সিবিআই এর হাতে দিয়ে দেব’। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফের অভিযুক্তের ফাঁসির কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিযেছি ফাস্টট্র্যাক আদালতে মামলা তুলতে। প্রয়োজনে ফাঁসির আবেদন জানাতে’। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপরেও যে পুরোপুরি ভরসা করা যাবে সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, ‘সিবিআইয়ের সাফল্যের হার খুব কম। রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির মামলাও সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল। তার আজ পর্যন্ত কিনারা হয়নি’। অন্যদিকে, আরজিকরের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। সোমবার থেকে কর্মবিরতিতে চিকিৎসক সংগঠনগুলি। আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের বাইরেও। ঘটনার খবর শোনার পর থেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন মমতা। এমনকি, ঘটনার দিনই মুখ্যমন্ত্রী অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি তোলেন। জানান, চিকিৎসকদের আন্দোলন করাটা খুবই স্বাভাবিক। এই ধরনের ঘটনার কোনও ক্ষমা নেই।

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপি বিনীত গোয়েলের গলায় একাধিক অভিযুক্তের কথাও শোনা যায়। মমতা বলেন, 'আমি যতদূর শুনেছি এই ঘটনার সঙ্গে ভেতরের কারোর যোগাযোগ থাকতে পারে। ওখানে নার্সরা ছিলেন. চিকিৎসকরা ছিলেন, এমনকি হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তা ছিল। তা সত্ত্বেও এমনটা কী করে ঘটল আমি জানি না। তবে প্রত্যককে ডাকা হচ্ছে, জেরা করা হচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে।' সিপি বিনীত গোয়েলও একই কথা বলেন। তাঁর কথায়, 'আমরা প্রত্যেককে ডাকছি। যাঁরা এখনও কথা বলেননি তাঁদেরও ডাকা হবে। হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। পরিচয় গোপন রেখেও আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন'।

    বিক্ষোভের জেরে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ। আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দোষী যথাযথ শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ঘটনার খবর পেয়েই মৃতের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন উত্তর ২৪ পরগণার পানিহাটির বাড়িতে যান। সেখান থেকে বেরিয়েই ডেডলাইন বেঁধে দেন পুলিশকে। ঘটনায ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কলকাতা সিভিক ভলান্টিয়ার। তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
  • Link to this news (আজকাল)