• বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন মমতার
    ২৪ ঘন্টা | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ওড়িশায় রাজ্যের একাধিক শ্রমিককে হেনস্থা করা হচ্ছে। এদের অধিকাংশই ফেরিওয়ালা। এদের বলা হচ্ছে বাংলাদেশি। রাজ্যের বাইরে প্রায়শই যেমন শোনা যায় বাঙালি মানেই বাংলাদেশি, সেইভাবেই আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বাংলার ফেরিওয়ালারা। এনিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করলেন ক্ষুব্ধ মমতা।

    আরও পড়ুন-

    শনিবারই ওড়িশার খাদগিরি থানার ডুমুডুমা রহমদ এলাকার একটি ঘটনা প্রথম প্রকাশ্যে আসে ৷ পশ্চিমবাংলা থেকে যাওয়া ফেরিওয়ালাদের নিগ্রহ করতে দেখা যায় একটি ভিডিয়োয় যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি জি ২৪ ঘণ্টা। একই রকম ঘটনা ঘটে আলুগাদি, পানপাদার কাছে এইমস, ইনফোসিটি থানার শিখর চণ্ডিতেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা

    যায় বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা এক কাপড়ের ফেরিওয়ালা সাইকেলে করে কাপড় ফেরি করছিলেন। সেসময় বেশ কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে বাংলাদেশি তকমা দেয়। তারা

    বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অত্যাচারিতর কথা শোনায়। বলে তোমরা বাংলাদেশে অত্যাচার করছ সেই সময় ওই কাপড়ের ফেরিওয়ালা জানান, তার আধার কার্ড আছে। তিনি

    পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা। তখন তারা তা স্বীকার করে বলে, মানছি তোমরা বাংলাদেশি নও, তোমাদের আধার কার্ড আছে। নলহাটির ওই ফেরিওয়ালা জানান, প্রায় কুড়ি বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছেন। তাদের বাপ ঠাকুরটাও ব্যবসা করেছেন।

    অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মুহাম্মদ আবুল কাশেম নামে এক প্লাস্টিক দ্রব্যের ফেরিওয়ালাকে মারধর করতে। তারা বাংলাদেশে ‘হিন্দুদের’ উপর অত্যাচার করা হচ্ছে

    কেন প্রশ্ন তোলে। আবুল কাশেম তার আধার কার্ডদেখিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন তারা ফেরিওয়ালা মাত্র। ভিডিওর দেখা মেলা আধারকার্ড অনুযায়ী মুহাম্মদ আবুল কাশেমের

    বাড়ি মালদার কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের যদুপুরের কাশিমনগর গ্রামে। পিতার নাম হাবিবুদ্দিন। তারা প্রায় ৮ জন ফেরি করতে যান ওড়িশায়। সাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে

    প্লাস্টিক সামগ্রী বিক্রি করে থাকেন। কাশেমের সাইকেল থামিয়ে তার আধার কার্ডদেখে তা বানিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে মমতা ব্যানার্জিকে দায়ী করেন।  তারপর তারা কাশেমের কাছে জানতে চায়, কত জন তারা এসেছে। উত্তর পেয়ে সাফ হুঁশিয়ারি দেয়, তাড়াতাড়ি ওড়িশা ছেড়ে চলে যাও। তারপর আধার কার্ডে থাকা ঠিকানা পড়েও তারা বাংলাদেশি কিনা জিজ্ঞেস করে। কাশেম জানিয়ে দেন তারা বাংলাদেশি নন, মালদার বাসিন্দা। কবে বাড়ি যাবেন জানতে চায় তারা। কাশেম জানান, মঙ্গলবার সরাসরি গাড়ি। কলকাতা থেকে তাদের যেতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে মালদা যেতে।

    অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায় ছোট বাইকে করে কাপড় ফেরি করতে যাওয়া এক যুবককে বেশ কয়েকজন ঘিরে ধরে জিজ্ঞেসবাদ করছে। তারপর হিন্দুদের উপর

    বাংলাদেশে অত্যাচার করা হচ্ছে কেন প্রশ্ন তুলে তাকে চড় মারতে থাকে। তাই দেখে তার সঙ্গীরাও যুবকটির বাইকটি লাঠি দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকে। ওই ভিডিওর

    চ্যাটে উল্লেখ করা হয় ছেলেটির বাড়ি মুর্শিদাবাদে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)