• কে, কোথায় বিশ্রামে? রেইকি করেই ধর্ষণের 'টার্গেট' স্থির করে সঞ্জয়?
    ২৪ ঘন্টা | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইতোমধ্যেই ইন্টার্নের ফোনকলের ভাইরাল অডিয়ো ঘিরে জোরাল প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তারপরই প্রকাশ্যে এসেছে এই বিস্ফোরক তথ্য। রাত ডিউটিতে থাকলে নাকি কে কোথায় থাকে? কোথায় বিশ্রাম করে? সে সব বিষয়ে একাধিকবার হাসপাতালে গিয়ে রেইকি করেছে সঞ্জয়! সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে গত ৩০ দিনের সিসিটিভির ফুটেজ ক্ষতিয়ে দেখা শুরু করল পুলিস। পাশাপাশি শুরু হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার প্রস্ততিও। 

    ভাইরাল অডিয়োতে ২ ব্যক্তির মধ্য়ে কথোপকথন হচ্ছে। তারমধ্যে একজন নিজেকে আরজিকর মেডিক্য়াল কলেজের ইন্টার্ন হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। সেখানে এক ব্যক্তি পুরো ঘটনাটি নিয়ে অপর এক ব্যক্তির কাছে জানতে চাইছেন। সেখানে অপর ব্যক্তি জানিয়েছেন, পুরো আন্দোলনটি সাজানো। আরজিকরের অধ্যক্ষই আন্দোলনের পিছনে রয়েছেন। খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি তাঁর। 

    এই নারকীয় ধর্ষণকাণ্ডে তাহলে শুধু একা সঞ্জয় নয়, আরও অন্য কেউ জড়িত? প্রশাসন কি তাহলে তাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে? এরকম হাজারো প্রশ্ন প্রথম দিন থেকেই উঠে আসছে!  সেই কথোপকথনেই চাঞ্চল্যকর দাবি, 'অনুমান করছি এটা এক ইন্টার্নের কাজ, যাঁর রাজনৈতিক ব্য়াকগ্রাউন্ড আছে। তাঁর পরিবারের সদস্য়রাও যথেষ্ট উচ্চপদস্থ, নাম নিতে পারব না। আমারই সমস্য়া হয়ে যাবে।' যদিও কারও নাম নেওয়া হয়নি ওই অডিয়ো ক্লিপে।

    এমনকী তদন্তে'কীর্তিমান' সেই সঞ্জয়কে সম্পর্কে উঠে আসছে নয়া তথ্য। আরজি করের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের সিসিটিভি ফুটেজে সূত্রে ধরেই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায়কে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল চেস্ট মেডিসিনের ওয়ার্ডের মধ্য় দিয়ে সে যাচ্ছে সেমিনার হলের দিকে। সেই সেমিনার হলে খুন হওয়া চিকিৎসকের দেহের পাশে পড়েছিল একটি সাদা রঙের হেডফোন। 

    পুলিস সিসি ক্যামেরা দেখে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করার পরেই ব্লু টুথটা কানেক্ট করার পরেই দেখা যায় সেটা সঞ্জয়ের। আর ফোন খুলতেই দেখা যায় প্রচুর পর্নভিডিয়ো রয়েছে তার ফোনে। গ্রেফতারের পরেও দেখা গিয়েছে সে ভাবলেশহীন। কোনও অনুশোচনা নেই। যখন তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গাড়িতে তুলছিল তখনও দেখা গিয়েছে একেবারে উদ্ধত হাবভাব। তদন্তকারীদের বলে, 'আমি ফাঁসি দিয়ে দিন'। 

    তদন্তে উঠে এসেছে, গভীর ঘুমের মধ্যেই আরজিকরের ওই চিকিত্‍সক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। মদ্যপ অবস্থায় ছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। উল্লেখ্য আরজিকর কাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলেছে হাড়হিম করা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ। ম্যাটরেসে মেলে শুকনো রক্তের দাগ। মৃতার গোটা শরীরে আঘাত, মিলেছে ধস্তাধস্তির প্রমাণ। ডাক্তারি পড়ুয়ার দুই চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। মুখে রক্তের দাগ। শরীরের একাধিক জায়গায় নখের আঁচড়ের চিহ্ন। যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ। যৌনাঙ্গের কাছে মেলে চুলের ক্লিপ। নির্যাতিতার পেটে মেলে আঘাতের চিহ্ন। ডান হাতে ও আঙুলেও মেলে আঘাতের চিহ্ন। গলার হাড় ছিল ভাঙা অবস্থায়। ঠোঁটেও আঘাতের চিহ্ন। সেমিনার হলে অর্ধনগ্ন দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় পোশাক, ল্যাপটপ ও ব্যাগ। দেহের পাশে মেলে ভাঙা চশমাও। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)