এদিন সকালে আরজিকরের অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. সন্দীপ ঘোষ। বলেন, 'আমি আজ বিবেকের তাড়নায় পদত্যাগ করলাম। আমি লজ্জিত, আমি চাই দোষীরা শাস্তি পাক।' সন্দীপ ঘোষ বলেন, "আমি প্রথমেই আরজি করের একজন কর্তাব্যক্তি হিসাবে লজ্জিত। আমি আজ বিবেকের তাড়নায় পদত্যাগ করলাম। যেখানে সারা পশ্চিমবঙ্গের ছাত্ররা আমার পদত্যাগ চাইছে। দোষীরা যেই হোত, একজন হোক বা দুইজন হোক, ডাক্তার হোক বা যেই হোক, দোষী যেন শাস্তি পায়। আমি চাইব আরজি করের ছাত্রছাত্রীরা দ্রুত কাজে ফিরুক কারণ সবাই তো আমার পদত্যাগই চাইছিল। আমার মনে হয়েছে যে আমার পদত্যাগই গোটা রাজ্যবাসীর কাম্য ছিল। গোটা তিনদিন ধরে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কটূক্তি শুনেছি, আমার পরিবার, দুই ছোট ছোট বাচ্চা যা সহ্য করেছে, তার জন্য আমি বাবা হিসাবে লজ্জিত। তাই এই পদত্যাগ করলাম।"
এরপর স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে চাকরি থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। তবে তিনি এও অভিযোগ করেন যে, তাঁকে তাড়াতে আন্দোলনে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। আর সেই ঘটনায় আরজিকর অ্যালামনি এক রাজনৈতিক নেতার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। প্রসঙ্গত, গতকালই আরজিকরের সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরজিকরের নতুন সুপার হন বুলবুল মুখোপাধ্যায়। বুলবুল মুখোপাধ্য়ায় হাসপাতালের ডিন ছিলেন।