মৌমিতা চক্রবর্তী: আর জি করকাণ্ডে বাড়ছে প্রতিবাদের ঝাঁঝ। রাজ্য জুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজে কর্মবিরতির ডাক। এমার্জেন্সি ও নন এমার্জেন্সি বিভাগে কর্মবিরতিতে রেসিডেন্স চিকিত্সকদের ফোরাম। প্রতিবাদের অস্ত্র কর্মবিরতি। এই বিষয়েই এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি বলেন, ধামাচাপার চেষ্টা হয়েছিল। ডাক্তারদের কাছে পোস্টমর্টেম লুকিয়ে রাখা হল কেন? এসব শুনে ফুঁসে উঠি, মন খারাপ করি। অনেকগুলো ঘটনা দিনের পর দিন ঘটেই চলেছে। তার সুরাহা করার চেষ্টা নেই। কিছু হয়ে গেলে তারপরে উত্তাল হচ্ছে। এত মন্ত্রী, রাজনীতি কম করে দিয়ে কাজটা করছেন না কেন?
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, 'একটা ঘটনা নেক্রোফিলিয়া হয় না। এমন মার মারুন, এমন থার্ড ডিগ্রি দিন সব উগরে দেবে। পুলিসকে স্বাধীনতা দিলে সে ভালো কাজ করতে পারে। পুলিসকে গরু বানিয়ে রাখছ। পশ্চিমবঙ্গে সব কিছুতেই রাজনীতি। এক্ষুনি একটা পতাকা চাই, ধর্ম নিয়ে টানাটানি চলবে। যে কোনও মানুষ নির্বিশেষে এগিয়ে আসুন। যে যেভাবে পারবেন প্রতিবাদ করুন। প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করে পালিয়ে না যান সেটা দেখতে হবে তো। ১৪ অগাস্ট আমি রাস্তায় থাকব। আমিও যাব।'
এদিন তিনি আরও বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি যার মানে লেগেছে সে আসুন। আমি মায়েদের বলব, আপনাদের ছেলেদের নিয়ে আসুন। সবাই অপরাধ হতে দেখলে চোখ ঘুরিয়ে রাখার অভ্যাস ছাড়ুন। আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে সহ্য করতে পারি না, আমি তাই বলছি আপনি আপনার ভালো কাজ বজায় রাখুন। যাতে আপনি যেদিন ক্ষমতা থেকে সরবেন সেদিন আপনার ফলক যেন কেউ ভেঙে না দেয়। বাঙলা ভাষায় বলব। উল্টে পেঁদাও। যাতে সব উগরে দেয়।'
এদিকে বেনজির নিরাপত্তা বলয় আর জি করে। হাসপাতালের গেট সিল। ঢুকতে হচ্ছে ভিজিটিং কার্ড দেখিয়ে। আউটডোর বন্ধ। ইনডোর পেশেন্ট পার্টির কাছে ভিজিটিং কার্ড না থাকলে মেইন গেট দিয়েই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যাদের পেশেন্ট ইনডোরে ভর্তি নেই তারা আদৌ যে কারণে ভিতরে ঢুকতে চাইছেন তা আজ করা যাবে কিনা, সেই বিষয়ে গাইড করে দিচ্ছেন আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশ।