• আর জি কর কাণ্ডে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা
    প্রতিদিন | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • গোবিন্দ রায়: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় এবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের। এখনও পর্যন্ত মোট তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী, আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এবং সৌম্যশুভ্র রায় নামে জনৈক ব্যক্তি মোট চারটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। প্রতিটি মামলাই প্রধান বিচারপতির এজলাসে দায়ের করা হয়েছে।

    মামলাকারীদের দাবি, তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় পুলিশি তদন্তে আস্থা নেই। স্বাধীন কোনও তদন্ত সংস্থা কিংবা সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরের আবেদন জানানো হয়েছে। মামলাকারী কৌস্তভ বাগচী বলেন, “রাজ্যের নাগরিকদের পক্ষে এই মামলা। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকাহত।” মামলাকারীদের আরও দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের কাছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা আঁটসাঁট করার আবেদন করা হচ্ছে। অন্তত ৬ মাসের জন্য পর্যাপ্ত সিসিটিভি ব্যাক আপ সুবিধা-সহ পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর দাবি করা হয়েছে।

    মহিলা চিকিৎসক এবং ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামের স্থান এবং শৌচালয় তৈরির আবেদন জানানো হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলাতেও একইভাবে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এই প্রসঙ্গে মামলা দায়ের ক্ষেত্রে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন,”এটিও একই ধরনের ঘটনা।” মঙ্গলবার মামলাগুলির শুনানির সম্ভাবনা।

    উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট নাইট ডিউটি ছিল ওই তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সকালে জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হলে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। তরুণী চিকিৎসকের দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্নও ছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় SIT গঠন করে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ-সহ নানা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নৃশংস অত্যাচার করে খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত সঞ্জয়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)