অর্ণব আইচ ও ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কাণ্ডে তথ্য সংগ্রহে কোমর বেঁধে নামল পুলিশ। এবার ওই তরুণী চিকিৎসকের চার সহকর্মীকে তলব করল লালবাজার। সূত্রের খবর, অভিশপ্ত রাতে ওই চারজনের সঙ্গে বসে খাবার খান তরুণী চিকিৎসক।
গত ৮ আগস্ট নাইট ডিউটি ছিল ওই তরুণী চিকিৎসকের। পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন। অনলাইনে খাবার অর্ডার করেন। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন সকলে। তার পর যে যার মতো বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে জরুরি বিভাগে চার তলার সেমিনার হলে ঘুমিয়ে পড়েন তরুণী চিকিৎসক। মায়ের সঙ্গে শেষবার ওই সেমিনার হল থেকে ফোনে কথা বলেন তিনি। অভিশপ্ত রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে থাকা প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলতে চান তদন্তকারীরা। সোমবারই লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট সকালে জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হলে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। তরুণী চিকিৎসকের দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্নও ছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় SIT গঠন করে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ-সহ নানা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নৃশংস অত্যাচার করে খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত সঞ্জয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলা-সহ গোটা দেশ। প্রায় প্রত্যেকটি হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।