মহিলা রোগীরা টার্গেট, ফোনও করত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়!
এই সময় | ১২ আগস্ট ২০২৪
আরজি করকাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তার শাশুড়ি। স্ত্রীকে অত্যাচার করত সে, দাবি প্রবীণার। এবার সেই সঞ্জয়ের আরও 'কীর্তি' প্রকাশ্যে। আরজি করে আসা মহিলা রোগীদের কি টার্গেট করত সঞ্জয়? উঠছে সেই প্রশ্ন। সূত্রের খবর, মাস তিনেক আগে এক গৃহবধূ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। সেই সময় সঞ্জয় যেতে তাঁর সঙ্গে আলাপ করেছিলেন। ওষুধ কিনে দেওয়ার নাম করে ওই মহিলার নম্বরও নেয় সে। এরপর থেকেই মহিলাকে মাঝে মধ্যে ফোন করে বিরক্ত করত সঞ্জয়। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।এ দিকে আরজি করের ঘটনায় পথে নামতে চলেছেন বুদ্ধিজীবীরা। মঙ্গলবার 'শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চ' 'নাগরিক সমাজের ধিক্কার পদযাত্রা'-র ডাক দিয়েছে। এই মিছিলে পা মেলাতে চলেছেন মীরাতুন নাহার,সুজাত ভদ্র,পার্থ সারথী সেনগুপ্ত,অপর্ণা সেন, সোহিনী সেনগুপ্ত,পবিত্র গুপ্ত, ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় সহ আরও অনেকেই। ১৩ অগস্ট বিকেল ৪টেয় শ্যামবাজারে নেতাজি মূর্তির সামনে থেকে এই পদযাত্রা শুরু হবে। তা শেষ হবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমার্জেন্সি গেটে। রাজ্য়ে এসেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি।
উল্লেখ্য, আরজি কর নিয়ে সম্প্রতি একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (এই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল)। সেখানে এক 'প্রভাবশালী' যোগের দাবি করা হচ্ছে গোটা ঘটনায়। পাল্টা সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, 'অডিয়ো ক্লিপে যে বলছে এই সমস্ত কথা সে পুলিশের কাছে যাচ্ছে না কেন? যদি সত্যি না হয় তাহলে উত্তেজনা ছড়াবে কেন? এই কথা সত্যি না হলে তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আসবে।'
সোমবারই আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর উপর কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। তবে তাঁর মুখে কথা বসিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন সন্দীপ। তাঁর পরিবর্তে আরজি করে অধ্যক্ষ করা হয়েছে সুহৃতা পালকে। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষকে পাঠানো হয়েছে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে।