'মেয়ের উপর অত্যাচার করত', অভিযোগ আরজি করকাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের শাশুড়ির
এই সময় | ১২ আগস্ট ২০২৪
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সঞ্জয় রায় নামক এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। ঘটনায় দোষীর কঠোরতম শাস্তির দাবি করা হয়েছে সমস্ত মহল থেকে।অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ তুললেন তার শাশুড়ি। ২০২২ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তর বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের উপর অত্যাচার করত সে, দাবি অভিযুক্তের শাশুড়ির। তিনি বলেন, 'বিয়ের পর মেয়ের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেই সময় মেয়েটার চিকিৎসা পর্যন্ত করায়নি। মদ খেয়ে মারধর করত। দেখাশোনা করে বিয়ে দিয়েছিলাম। আজও নিজেকে অপরাধী মনে হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'দু'বার কালীঘাট থানায় অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। শুনেছি ওর আগে একটা বিয়েও রয়েছে। একটা মেয়েও আছে। আরজি করের ঘটনা শোনার পর থেকে রাতে ঘুম হচ্ছে না। এই ধরনের ঘটনা যেই ঘটাক তার কঠোর শাস্তির দাবি করছি।’
অন্যদিকে, সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রীর বোন বলেন, ‘দিদি ২০২৩ সালে ১০ অগস্ট মারা যান। বিয়ের পর একটা দিনও সুখী দেখিনি ওকে। চিকিৎসা পর্যন্ত আমার মা করিয়েছিল। দিদির উপর অত্যাচার করা হত। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। শুনেছি ওর দিদি নাকি পুলিশে চাকরি করে। জানি না কেন ওর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হল না। আরজি করের ঘটনা শুনে শিউরে উঠেছি। ওর কঠোরতম শাস্তির দাবি করছি।’
উল্লেখ্য, আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার কিনারা করার জন্য তৎপর পুলিশ প্রশাসন। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘নক্কারজনক ঘটনা। ওখানে নার্সরা ছিল, ওদের সুরক্ষা কর্মীরা ছিল। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা ভেবে পাচ্ছি না!’ পাশাপাশি পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। রবিবারের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হবে, এমনটাও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।