• এখনও ঘুমোচ্ছেন বুদ্ধিজীবীরা? আরজিকরের ঘটনায় পথে চিকিৎসকরা, নাগরিক সমাজের একাংশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • শীতঘুমে থাকা বুদ্ধিজীবীদের একাংশ ধীরে ধীরে জাগতে শুরু করেছেন। তবে সেটা নিতান্তই কম সংখ্য়ক। গোটা দেশজুড়ে যখন আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার তখনও কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ ফেসবুকেই বিপ্লব করতে অভ্যস্ত। তবে এদিন প্রচুর ডাক্তারি পড়ুয়া কলকাতার রাজপথে মিছিল বের করেন। সেখানে একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। তবে এদিন তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা নিয়ে আসেননি। তবে এদিকে কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী এই পদযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা একেবারেই হাতে গোনা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কবে জাগবেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা? 

    এদিন মিছিলের সামনে বিরাট ব্যানারে লেখা হয় নাগরিক সমাজ লড়ছে লড়বে। এদিকে আরজিকরের একাধিক প্রাক্তনী চিকিৎসকরা দাবি করেন, লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। ওই একজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব তাঁরা। 

    তবে অনেকেরই দাবি, এত বড় ঘটনা। তারপরেও কেন জেগে উঠছে না নাগরিক সমাজ?কেন এনিয়ে কোনও আওয়াজ নেই? কেন এখনও চুপ করে রয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ?   সব মিলিয়ে নানা প্রশ্ন।

    এদিকে এদিন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও আরজিকরের সামনে হাজির হয়েছিলেন। মূলত এই আন্দোলনের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানানোর জন্যই এই কর্মসূচি। পাশাপাশি আরএসপির ছাত্র যুব মহিলা সংগঠনের প্রতিনিধিরাও এদিন এসেছিলেন আরজিকরের সামনে। কিন্তু আরজিকরের মেডিক্যাল পড়ুয়ারা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজনৈতিক দলের পতাকা নিয়ে আসা যাবে না। এদিক বামপন্থী ছাত্র যুবরা এদিন আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। এদিকে বার বার বলা সত্ত্বেও কেন বামপন্থী ছাত্র যুবরা সংগঠনের পতাকা নিয়ে এসেছিলেন সেই প্রশ্ন উঠছে। 

    এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মৃত ছাত্রীর বাড়িতে এদিন গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ ছিল, সবাই ছিল। তারপরও কী করে এই ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।' তদন্তে সবথেকে ভালো পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি মমতার। মমতা মন্তব্য করেন, 'হয়তো ভিতরেরই কেউ আছে এই ঘটনায়। নির্যাতিতার পরিবার সেটাই অভিযোগ করছে।' মমতা বলেন, 'যেই জড়িত থাক না কেন, তাকে শাস্তি পেতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে আমরা ফাঁসির দাবি জানাব। হাসপাতালে অতজন নার্স, ওখানে সিকিউরিটি ছিল, তাও কী করে এমন ঘটনা ঘটল ভেবে পাচ্ছি না। যে প্রথম পরিবারকে ফোন করেছিল, তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)