• অবৈধ যান নিয়ন্ত্রণে টোটোয় বসবে কিউআর কোড, দেওয়া হবে নম্বর, ঠিক করা হবে রুট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • রাস্তায় টোটো বাড়ার ফলে যানজট বাড়ছে। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনাও বাড়ছে। এ নিয়ে কড়াকড়ি আগেই শুরু করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। টোটো, ই রিকশা নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই রাজ্য এবং জাতীয় সড়কের উপর টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পরিবহণ দফতর। তাছাড়া, কলকাতা হাইকোর্টও টোটো নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য পরিবহণ দফতরকে গাইড লাইন তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে। এবার টোটো নিয়ন্ত্রণে আরও তৎপর হল রাজ্য সরকার। টোটোতে কিউআর কোড এবং নম্বরযুক্ত স্টিকার বসানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।  

    রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ২০ থেকে ২২ লক্ষ অবৈধ টোটো রয়েছে। কিন্তু, এত বিপুল পরিমাণে অবৈধ টোটো থাকা সত্ত্বেও তার তথ্য পরিবহণ দফতরের হাতে নেই। তাই এই অবস্থায় প্রথমে টোটো গণনা করা হবে। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে, পুরসভা, ব্লক এবং জেলায় কত সখ্যক টোটো রয়েছে তার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সেই তথ্য সংগ্রহ করার পরেই কিউআর কোড বসানো শুরু হবে। এই কিউআর কোডে স্ক্যান করলেই টোটো সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এবং মালিকের যাবতীয় তথ্য বেরিয়ে আসবে। 

    শুধু তাই নয়, সাধারণ গাড়ির মতোই নম্বরযুক্ত স্টিকার দেওয়া হবে টোটোগুলিকে। এরফলে টোটোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে, বাস, অটোর নির্দিষ্ট রুট রয়েছে। এরফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। তাই এই সব যানের মতোই টোটোগুলিরও রুট নির্দিষ্ট করে দিতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। কোনও সমস্যা যাতে না হয় সে বিষয়টি দেখা হবে। 

    পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, টোটোর জন্য রাস্তায় যানজট বাড়ছে। এই ধরনের বহু অভিযোগ আসছে। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন রাস্তা যানজট মুক্ত করতে হবে। তাই টোটোকে নিয়মের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর ফলে টোটো চালকদের জীবিকা কোনওভাবে ব্যাহত হবে না বলেই তিনি আশ্বস্ত করেছেন।

    নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে পরিবহণমন্ত্রী, সচিব ও বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে টোটো নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন পুলিশ কর্তারা। তাছাড়া, টোটো থেকে রাজ্য সরকারের কোনও আয় হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তাই টোটো নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, টোটোর জন্য কিআর কোড এবং বিশেষ স্টিকারের দায়িত্বে থাকবে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। এছাড়াও টোটো সংক্রান্ত একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)