• উঠেছে একাধিক জনের জড়িত থাকার অভিযোগ, এরই মাঝে আরজি কর কাণ্ডে তলব ৪ জনকে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • গত ৮ আগস্ট নাইট ডিউটি ছিল তরুণী চিকিৎসকের। খাওয়াদাওয়ার পর জরুরি বিভাগে চার তলার সেমিনার হলে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘটনার রাতে এক ডেলিভারি অ্য়াপ থেকে খাবার অর্ডার দিয়ে আরও চারজনের সঙ্গে খাবার খেয়েছিলেন সেই তরুণী। জনা গিয়েছে, সেই চারজনের মধ্যে একজন হাউজস্টাফ এবং তিনজন চিৎসক। এই আবহে এবার এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তলব করল পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়া চার জনকে আজই লালবাজারে যেতে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, দু'দিন আগেই আরজি করের চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের ট্রেনি চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় হাসপাতালেরই চার তলার এক সেমিনার হলে। সেই ঘটনায় হাসপাতালে সুপারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। সেই মতো স্বাস্থ্য দফতর এই সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে পুলিশের তরফ থেকেও এসিপি নর্থ চন্দন গুহকে অপসারণ করা হয়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ভাবে পুলিশের তরফ থেকে নাকি মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে জানানো হয়েছিল, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্য করেছে। এই আবহে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছিল। আন্দোলনকারীদের সওয়ল, এমন পরিস্থিতিতে একটি রক্তাক্ত দেহ দেখে পুলিশ কীভাবে এবং কেন আত্মহত্যার দাবি করল প্রাথমিক ভাবে?

    এদিকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযোগ উঠেছে, সঞ্জয় একা এই কাজ করে থাকতে পারে না। এই আবহে প্রভাবশালী কাউকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এরই মাঝে গতকাল আবার ভাইরাল হয়েছে আরজি কর নিয়ে একটি অডিয়ো ক্লিপ। সেই ক্লিপে একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'আরজি করের গোটা মুভমেন্টের পুরোটাই মেকি। ওটা প্রিন্সিপালই চালাচ্ছে। আর প্রিন্সিপালের যারা শাগরেদ, তারাই চালাচ্ছে। মুভমেন্টের যে আলাদা কোনও ফেস হবে, অথরিটি যে কোনও স্টেপ নিচ্ছে না বা এরকম আজেবাজে কমেন্ট করছে, সেটার বিরুদ্ধে কিন্তু কিছু নেই। ঠিক আছে। আমাদের উপর নির্ভর করে বাইরের লোক এত কিছু করছে। অবশ্যই ভালো লাগছে। কিন্তু আমরা নিজেরাই সাসটেনেবল নই। কারণ অধিকারের দাবিতে আন্দোলনকে দমন করার ইতিহাস আছে আরজি করে।'

    এরপর সেই অডিয়ো ক্লিপে ব্যক্তিটি আরও বলেন, 'এখানে কালকে একটা ভিডিয়ো এসেছিল যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে অ্যারেস্ট করেছে। ওকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। সেটা সঙ্গে-সঙ্গে আমরা তুলে ধরেছি। কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল যে তাতে আমরা ভুলে যাব। কিন্তু ওরা জানে না যে সেটুকু তো বুদ্ধি আছে যে মানুষ বুঝতে পারবে, ওটা ওর পক্ষে করা সম্ভব কিনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দিদির যেরকম ইনজুরি আছে, তাতে একজনের কাজ তো নয় দাদা। দু'জন বা তিনজনের। আমরা সাসপেক্ট করছি যে এটা ইন্টার্নের কাজ। ঠিক আছে দাদা। যে ইন্টার্নের যথেষ্ট পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। পরিবারের সদস্যরাও যথেষ্ট উচ্চপদস্থ। নাম নিতে পারব না। কারণ আমারই সমস্যা হয়ে যাবে।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)