আরজি কর-কাণ্ডের নিন্দায় মঙ্গলে পথে নামছেন অপর্ণা, সোহিনীরা
আনন্দবাজার | ১২ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে কলকাতার নাগরিক সমাজ। মঙ্গলবার বিকেল ৪টে থেকে শুরু হবে ‘ধিক্কার পদযাত্রা’। প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটার কথা রয়েছে অপর্ণা সেন, সোহিনী সেনগুপ্ত, পল্লব কীর্তনীয়া, মীরাতুন নাহার, সুজাত ভদ্র-সহ শহরের বিশিষ্টজনদের। শ্যামবাজার নেতাজি মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হবে মিছিল। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে গিয়ে মিছিল শেষ হওয়ার কথা।
আরজি করের জরুরি বিভাগের চার তলায় সেমিনার কক্ষ থেকে শুক্রবার উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু আরও কেউ এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে পুলিশ তদন্তের কিনারা করতে না পারলে, তদন্তভার সিবিআইকে দিয়ে দেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাস্তায় নেমেছিলেন শহরের নাগরিক সমাজের একাংশ। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে আরজি কর হাসপাতাল পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সোমবার কলকাতার রাস্তায় ওই প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা গিয়েছে কৌশিক সেন,ঋদ্ধি সেন, চৈতি ঘোষাল, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়দের। এ বার মঙ্গলবার ‘ধিক্কার পদযাত্রা’য় শামিল হচ্ছেন অপর্ণা, মীরাতুন-সহ শহরের আরও অনেক বিশিষ্টজন। মীরাতুন জানিয়েছেন, “আরজি করে হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের যে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, তাতে আমরা শোকাহত। শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চের তরফে আগামিকাল একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে আমি তাতে শামিল হব।”
আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা সন্দেহ করছেন, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। তাঁদের সেই সন্দেহের কথা উড়িয়ে দেননি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। পুলিশের তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বরের কথা জানিয়েছেন তিনি।
আন্দোলনকারীদের কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন, যদি তাঁদের কারও উপর সন্দেহ থাকে, সেটা যেন পুলিশকে জানানো হয়। প্রয়োজন বোধ করলে, পরিচয় গোপন রেখেও পুলিশকে তথ্য দিতে পারেন তাঁরা। পুলিশ কমিশনার আশ্বস্ত করেছেন, যদি এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকেন, সে ক্ষেত্রে আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে প্রতিবাদ, আন্দোলনের ঝাঁজ ক্রমেই বাংলার সীমানা ছাপিয়ে অন্য রাজ্যগুলিতেও পৌঁছে গিয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, লখনউ, কর্নাটক-সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দিল্লি এমসের সামনেও পোস্টার হাতে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা গিয়েছে চিকিৎসকদের।