• সকালে ইস্তফার পর বিকেলেই ফের অধ্যক্ষ সন্দীপ, SIT-এর শক্তিও বাড়াল রাজ্য
    আজ তক | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • RG Kar Super Sandip Ghosh: সকালেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন রবিবার পর্যন্ত যদি আরজি করের ঘটনার কূলকিনারা না করতে পারে পুলিশ, তাহলে এই ঘটনা সিবিআইকে তুলে দেবেন। তারপরই পুলিশের তরফে মামলার তদন্তে বড় সিদ্ধান্ত সামনে এল। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে জোর দিতে SIT  বাড়িয়েছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন, ডিসিপি পদে আরও একজন দক্ষ আইপিএস অফিসারকে যুক্ত করা হয়েছে বিশেষ তদন্ত দলে। যারা আগে কলকাতায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্ত করেছে।

    সূত্র বলছে, আইপিএস অমিত ভার্মাকে দলে যুক্ত করা হয়েছে এবং এখন এই মামলার তদন্ত করছে ৮ সদস্যের এসআইটি। কলকাতা পুলিশ SIT-কে সহায়তা করার জন্য একটি শিফটে ১৫ জনকে মোতায়েন করেছে। কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক দাবি করেছেন, এসআইটি ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে বলে সেখানে বদলি করা হচ্ছে।

    বিভাগীয় প্রধান এবং আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সহকারী সুপারকে আগামীকাল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তলব করেছে। সূত্র জানায়, চেস্ট বিভাগের সহকারী সুপার প্রথমে নির্যাতিতার পরিবারকে ফোন করে জানান, তিনি হাসপাতালে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের দুজনকেই আগামীকাল সকাল ১১টায় কলকাতা পুলিশ সদর দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। আজ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের ইন্টার্ন, হাউস স্টাফ, পিজিটি সহ ৭ জুনিয়র ডাক্তারকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, ওই রাতে ওই ৭ জন ডিউটিতে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৪ জন নির্যাতিতার সাথে রাতের খাবার খেয়েছেন। সেই রাতেও পুলিশ তাদের হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আবার তাদের তলব করা হয়। কলকাতা পুলিশ শীঘ্রই আরজি কর হাসপাতালের আরও কয়েকজন চিকিৎসককে ডেকে পাঠাবে।

    পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, 'যারা ইনভলভ বা কানেক্টেড, তাদের ডাকা হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে আরও কেউ যুক্ত থাকলে তাকে আমরা গ্রেফতার করতে পারব।' উল্লেখ্য, আরজিকর কাণ্ডের পরই এ ব্যাপারে কড়া বিবৃতি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পরিবার চাইলে সিবিআই তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছিলেন মমতা।
     

    এদিকে সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তাঁকে যেভাবে গালিগালাজ করা হয়েছে তাতে তিনি মর্মাহত তাই পদত্যাগ করেছেন। তাঁকে রাজ্য অন্য কোথাও কাজে লাগাবে। বিকালেই তাঁকে আবার কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদে বহাল করা হয়। সোমবার সকালে যিনি প্রথমে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন। পরে স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে সরকারি চাকরি থেকেই ইস্তফা দিয়ে দেন। ঘটনাচক্রে, তিনি আবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তনী।

    এদিকে সন্দীপের বিরুদ্ধে ঘটনার পর থেকে নানা তথ্য উঠে আসছে। হাসপাতালেরই একটি সূত্রের বক্তব্য, স্বাস্থ্যভবনে নিজস্ব ‘প্রভাব’ বিস্তার করেছিলেন সন্দীপ। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে তাঁকে একাধিক বার বদলি করা হলেও অল্প সময়েই তিনি ফিরে এসেছিলেন আরজি করের অধ্যক্ষের পদে। এক বার সন্দীপের পরিবর্তে উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সনৎ ঘোষকে আরজি করে আনা হয়েছিল। কিন্তু কোনও এক ‘অজ্ঞাত’ কারণে অল্প সময়ের মধ্যে ফের সন্দীপ ফিরে আসেন। দ্বিতীয়, গত সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন-দুবাই সফরের আগেই সন্দীপকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অস্থি বিভাগে বদলি করা হয়েছিল। ২১ দিনের মাথায় আবার তিনি আরজি করে ফিরে আসেন।
  • Link to this news (আজ তক)