• নিরাপত্তা ও ক্যাম্পাস স্থানান্তরের দাবিতে পুরুলিয়ায় আন্দোলনে মেডিক্যাল পড়ুয়ারা
    বর্তমান | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: সোমবার বিকেল থেকে আন্দোলন শুরু করলেন পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। আরজিকরের ঘটনার পর চিকিৎসক পড়ুয়াদের নিরাপত্তা এবং সদর হাসপাতাল থেকে হাতুয়াড়া ক্যাম্পাস স্থানান্তরের দাবি জানানো হয়। সোমবার বিকেল ৫টার পর হাতুয়াড়া ক্যাম্পাসের মূল গেট আটকে দিয়ে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। সোমবার রাত পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে তাঁরা অনড় ছিলেন। এদিকে আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল করেন আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ও চিকিৎসকরা। তাঁরা ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

    প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া দেবেন মাহাত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দু’টি ক্যাম্পাস। পুরুলিয়া শহরের সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাস এবং সেখান থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে রয়েছে হাতুয়াড়া ক্যাম্পাস। পড়ুয়াদের হস্টেল এবং পঠন-পাঠনের অন্যান্য ভবন হাতুয়াড়ায় রয়েছে। যদিও জরুরি বিভাগ সহ বিভিন্ন ইন্ডোর পরিষেবা এখনও সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসে রয়েছে। পড়াশোনার জন্য পড়ুয়াদের সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসেও আসতে হয়। রাতে সেখান থেকে হাতুয়াড়া ফিরে যাওয়ার তেমন কোনও যানবাহন না থাকায় প্রায়ই সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের। আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচির পর সোমবার বিকেলে হাতুয়াড়া ক্যাম্পাসের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। গেটের সামনে ছাত্রছাত্রীরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বসে পড়েন। 

    মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়া তুহিন চক্রবর্তী বলেন, হাতুয়াড়া ক্যাম্পাস এতদিন আগে তৈরি হয়েছে। তারপরেও সদর হাসপাতাল থেকে এখনও স্থানান্তর করা হয়নি। বিভিন্ন দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারের জন্যই স্থানান্তর আটকে রয়েছে। হাসপাতাল স্থানান্তরিত না হওয়ায় নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করে জানাতে হবে ক্যাম্পাস স্থানান্তর করতে ঠিক কত দিন সময় লাগবে। এটাই আমাদের মূল দাবি। তাছাড়া হাসপাতাল চত্বর এবং হস্টেল এলাকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানানো হচ্ছে। রাতে ওয়ার্ডে ক্লিনিকাল ক্লাস করে পড়ুয়াদের অন্ধকারের মধ্যে এত দীর্ঘ পথ আসতে হচ্ছে। পড়ুয়াদের রাস্তায় কিছু হয়ে গেলে তার দায় কে নেবে? সরকারি ফান্ড আসছে, কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার ওই ফান্ড নয়ছয় করছেন। বছরের পর বছর দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। পড়ুয়াদের মধ্যে রোষ তৈরি হয়েছে। 

    এদিন এমএসভিপিকে নিজেদের দাবির কথা জানান পড়ুয়ারা। এমএসভিপি সুকোমল বিষয়ী বলেন, পড়ুয়াদের দাবির কথা শুনেছি। স্থানান্তর সত্যিই খুব জরুরি। স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানানো হয়েছে। এদিন বিকেলে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিস আধিকারিক এবং সভাধিপতির বৈঠক হয়েছে। পড়ুয়াদের রাতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিস সুপার। তবে স্থানান্তরের বিষয়টি একটা একটি সময় সাপেক্ষ বিষয়। স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)