• রোগী ভর্তির সময় কেউ ঢুকতে পারবে না ওয়ার্ডে
    বর্তমান | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: রোগী ভর্তির সময় সঙ্গে কেউ ওয়ার্ডে ঢুকতে পারবে না। এমনই সিদ্ধান্ত নিল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর জি কর কাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার, নার্সিং সুপার সহ বিভাগীয় প্রধানরা। ছিলেন পুলিস আধিকারিকরাও। পরে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর দেব বলেন, রোগী ভর্তির সময় পরিবারের নাম করে একাধিক লোকজন হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। তাদের মধ্যে কারা পরিবারের লোক, কারা বাইরের লোক, তা বোঝা যায় না। ফলে এটা কড়া হাতে আটকানোর জন্য আমরা নিরাপত্তারক্ষীদের বলেছি। এখন থেকে রোগী ভর্তির সময় সঙ্গে কাউকে ওয়ার্ডে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে যে কার্ড ইস্যু করা হবে, সেই মতো রোগীর পরিজনরা ওয়ার্ডে যেতে পারবেন। এজন্য বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

    জলপাইগুড়ি সদর ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, এখন দুই হাসপাতাল মিলিয়ে ৮০টির মতো সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এর মধ্যে কতগুলি চলছে, কতগুলি খারাপ, তা নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন থেকে এদিনই আমরা ৫ লক্ষ টাকা পেয়েছি। ওই টাকায় আমরা ক্যামেরার সংখ্যা বাড়াব। কোথায় কোথায় শ্যাডো জোন আছে, সুপার তা নিজে খতিয়ে দেখছেন। যেহেতু পুলিসই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখবে, সেজন্য তাদেরও বলা হয়েছে, কোথায় কোথায় নতুন করে ক্যামেরা লাগানোর দরকার তা জানাতে।

    এদিকে, আর জি কর কাণ্ডের জেরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সিনিয়র রেসিডেন্টরা আজ, মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন। এনিয়ে অধ্যক্ষর বক্তব্য, ‘ওঁরা এসেছিলেন। বলেছেন, ইমারজেন্সি ছাড়া আর কোথাও কাজ করবেন না। ওঁরা যদি আউটডোর না করেন, অন্য চিকিৎসক দিয়ে আউটডোর করানো হবে।’

    সমস্ত মেডিক্যালে পুলিস ফাঁড়ি থাকার কথা। কিন্তু জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে এখনও তা নেই। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের দাবি, ‘আমরা পুলিস ফাঁড়ির জন্য রাজ্য পুলিসের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-কে চিঠি লিখেছি। কিন্তু সমস্যা হল, পুলিস ফাঁড়ির জন্য দু-তিনটে ঘর দিতে হবে। সেটা এখনই আমাদের হাতে নেই। দেখছি, কীভাবে ব্যবস্থা করা যায়।
  • Link to this news (বর্তমান)