• সিভিকের কাজ, দায়িত্ব নির্ধারনে নয়া নির্দেশিকা তৈরি করে দিচ্ছে নবান্ন
    বর্তমান | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: খাতায়কলমে সিভিকরা পুলিসের ‘সহযোগী’ মাত্র। আইন অনুসারে, তাঁরা কোনও তল্লাশিতে যেতে পারেন না। থানায় জিডি করা বা তদন্ত সম্পর্কিত কোনও ফাইল তাঁদের দেখার কথা নয়। উপেক্ষিত হচ্ছে আইন, রাজ্য পুলিসের অধিকাংশ থানায় সিভিকরাই ভরসা! তদন্তের কাজ বা কেন্দ্রের বিভিন্ন পোর্টালে ডেটা আপলোড করাসহ বহু কিছুই করছেন তাঁরা থানায় বসে। সিভিকদের দিয়ে কী ধরনের কাজ করানো হচ্ছে, আর জি কর কাণ্ডের পর তার তথ্য সংগ্রহে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন।

    পুলিস কর্মীর সঙ্কট, তাই রাজ্য সরকার সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়, তাঁরা কেবল ‘সহযোগী’ হিসেবেই কাজ করবেন। এক মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টও একই অভিমত দিয়েছে। অথচ নবান্নের নজরে এসেছে, বেশিরভাগ জেলায় সিভিকদের দিয়ে আইন-শৃঙ্খলার ডিউটি করানো হচ্ছে। আইন বাঁচাতে তাঁদের পরানো হচ্ছে জলপাই রঙের পোশাক। নিয়ম ভেঙে তাঁদের হাতে লাঠি, ওয়াকিটকিও ধরানো হচ্ছে। থানায় কর্মরত সিভিকদের নিয়ে তল্লাশিতেও যাচ্ছেন কিছু অফিসার। অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাসাজশে বিভিন্ন গোপন তথ্য পাচারের মারাত্মক অভিযোগও উঠছে কিছু সিভিকের বিরুদ্ধে। ফলে তদন্তে নেমে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে পুলিসকেই। কিছু কেস ডায়েরিও ‘টাকার’ বিনিময়ে বেহাত হওয়ার অভিযোগ এসেছে। সব মিলিয়ে প্রশাসনকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সিকিভদের নিয়ে। নবান্ন সূত্রের খবর, অনৈতিক কাজ থেকে সিভিকদের বিরত রাখার জন্য সরকারি নির্দেশিকা তৈরি হচ্ছে। তাতে তাঁদের কাজ বা দায়িত্ব নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকবে।
  • Link to this news (বর্তমান)