• বকখালিজুড়ে কড়া নজরদারি, বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে পর্যটকদের, পাড়ের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ
    বর্তমান | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: রবিবার দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনার পর বকখালি সমুদ্র সৈকতজুড়ে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। পুলিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সারাক্ষণ টহল দিচ্ছেন। সোমবারও বকখালিতে পর্যটকদের ভিড় ছিল। সকাল থেকেই স্নানের জন্য সমুদ্রে নামেন বহু পর্যটক। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়ে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সারাক্ষণ বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করে গিয়েছেন মানুষকে। তাঁদের বলা হয়, জলে বেশিদূর পর্যন্ত না যাওয়ার জন্য।

    বাবলু দাস নামে বকখালির এক বাসিন্দা জানান, সমুদ্রে উপকূল থেকে কিছুটা দূরে চরা তৈরি হয়েছে। ভাটার সময় চরাটি সমুদ্রে জেগে ওঠে। তখন জল উপকূল থেকে অনেক দূরে থাকে। পর্যটকরা চরার উপর দিয়ে হেঁটে বহু দূর পর্যন্ত চলে যান। জোয়ারের সময় ওই চরা ধীরে ধীরে ডুবে যায়। উপকূল ও চরার মাঝখানের গভীর অংশে অনেক জল জমে যায়। পর্যটকরা তা বুঝতে পারেন না। ফলে উপকূলে ফিরতে না পেরে সমস্যা তৈরি হয়। জোয়ারের সময়ও অনেক পর্যটক সমুদ্রে নেমে বহু দূর চলে যান। সেই সময় জলের স্রোত থাকে বলে বহুবার বিপদ ঘটেছে। 

    কলকাতার বেহালা থেকে গিয়েছিলেন রমেশ পাল। তিনি জানান, জোয়ারের সময় পুলিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা বাঁশি বাজিয়ে পর্যটকদের দূরে না যাওয়ার বিষয়ে সারাক্ষণই সতর্ক করছিলেন। ভাটার সময় সমুদ্রে জল কম থাকায় পর্যটকরা অনেক দূরে গিয়ে স্নান করছিলেন। তবে জোয়ার আসার অনেক আগে থেকেই সমুদ্র সৈকতে থাকা পুলিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা বাঁশি বাজিয়ে পর্যটকদের উপকূলের কাছাকাছি ডেকে নেন। এদিন সারাক্ষণই সমুদ্র সৈকতজুড়ে ছিল কড়া নজরদারি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)