• পুলিশকে ফোন করে নিজের বিয়ে রুখলেন নবম শ্রেণির ছাত্রী
    আজকাল | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ বাবা–মা জোর করে বিয়ের দেখাশোনাতে বসাতে চেয়েছিল। পাত্র দেখে নিয়ে বিয়ের তোড়জোড় করা হচ্ছিল। তা জানতে পেরে তড়িঘড়ি স্কুলে শিক্ষিকাদের ও বারুইপুর থানার পুলিশকে ফোন করে নিজের বিয়ে রুখলেন বারুইপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ‘এখনই বিয়ে নয়, পড়াশোনা চালিয়ে বড় হয়ে শিক্ষিকা হতে চায় সে’। এই ঘটনায় স্কুলেই ডেকে আনা হয় তার গুণধর বাবাকে। রীতিমতো মুচলেকা দিয়ে বাবাকে জানাতে হয় ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ের দিয়ে দেওয়ার কথা ভাবব না।

    তারপরেই পুলিশের হাত থেকে নিষ্কৃতি মেলে বাবার। নবম শ্রেণির ছাত্রীর এই সাহসিকতায় তারিফ সবার মুখে। ছোট নাতনির এই কাজে বাহবা দিয়েছেন তার দাদু ও দিদা। বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, এই ছাত্রীর সাহসিকতা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল অন্য ছাত্রীদের কাছে। বারুইপুরের ওই ছাত্রী সীতাকুন্ডু বিদ্যায়তন হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। ছাত্রী বলে, বাবা–মা কিছুদিন ধরেই আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। উত্তরভাগ এলাকায় নিয়ে গিয়ে দেখাশোনায় বসাতে চেয়েছিল বাবা। আমি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করি। আমি পড়াশোনা করতে চাই। আমার কাছে স্কুলে এক শিক্ষিকার ও থানার ফোন নম্বর ছিল। আমি ফোন করার পাশাপাশি ভয়ে স্কুলে চলে যাই। এরপরেই পুলিশ খবর পেয়ে স্কুলে চলে আসে। তারপর ব্যবস্থা নিয়ে বাবাকে ডেকে সতর্ক করে বিয়ে ভেস্তে দেওয়া হয়। বারুইপুরে মামারবাড়িতেই ছোট থেকেই থাকে ওই ছাত্রী। তার দাদু ও দিদা বলেন, আমরা চাই আমাদের নাতনী আরও পড়াশোনা চালিয়ে যাক।
  • Link to this news (আজকাল)