• LIVE: ন্যাশনাল মেডিক্যালে সন্দীপ-বিক্ষোভ, পরিস্থিতি সামলাতে গেলেন স্বর্ণকমল
    আজ তক | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে নরকীয় ঘটনার প্রতিবাদ ছড়াচ্ছে সর্বত্র। রাজ্য ছাড়িয়ে  সারা দেশে আছড়ে পড়েছে প্রতিবাদের ঢেউ। ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন  (FAIMA) মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট থেকে দেশব্যাপী প্রতিবাদ এবং OPD এবং বিকল্প পরিষেবাগুলি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণার্থী (পিজিটি) ডাক্তারের যৌন হয়রানি এবং হত্যার পরে এই বিক্ষোভ চলছে।

    FAIMA X-এ পোস্ট করেছে, 'আমরা ভারত জুড়ে প্রতিবাদরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছি! আমরা আজ থেকে সারাদেশের চিকিৎসকদের এই প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাই! আমরা বিচার চাই!'

    এদিকে, ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে একটি চিঠি লিখে মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে নৃশংসতার ঘটনার বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আইএমএ এই ঘটনার সুষ্ঠু ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এছাড়াও, অ্যাসোসিয়েশন এমন পরিস্থিতির বিশদ তদন্তের দাবি করেছে। IMA অনুরোধ করেছে যে কর্মক্ষেত্রে ডাক্তারদের, বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    ন্যাশনাল মেডিক্যালে স্বর্ণকমল

    জাভেদ খানকে সঙ্গে নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রধান স্বর্ণকমল সাহা। স্বর্ণকমলকে দেখেই বিক্ষুব্ধ জুনিয়ার ডাক্তাররা বললেন, 'আমরা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজকে আরজি কর বানাতে দেব না আপনাদের। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ডাম্পিং গ্রাউন্ড নয়।'

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে সন্দীপ ঘোষকে ঘিরে তীব্র বিক্ষোভ

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে আজ দায়িত্ব নিচ্ছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু বিতর্কিত সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভে বসলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। 

    অধ্যক্ষের ঘরের মূল গেটে তালা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে 

    আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ পদে ইস্তফার পরেই সন্দীপ ঘোষকে পাঠানো হয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু সেখানেও প্রবল বিক্ষোভের মুখে তিনি। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষের ঘরের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে আন্দোলকারী জুনিয়ার ডাক্তাররা। 

    আপনি সব ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে যদি সিবিআই-কে দেন: সুকান্ত মজুমদার

    আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ ও খুনের তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবার পর্যন্ত যদি পুলিশ এই মামলার কিনারা করতে না পারে, তাহলে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে তদন্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, 'আপনি সব ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে যদি সিবিআই-কে দেন, সিবিআই কী করবে? এই ধরনের রেপ অ্যান্ড মার্ডার কেসের সারকামস্টেন্সেস এভিডেন্স খুব গুরুত্বপূর্ণ।  দশ দিন, পনেরো দিন পরে পুলিশের কাছ থেকে সিবিআইকে তদন্ত দিয়ে কী হবে?'

    এ পর্যন্ত কী হয়েছে এই মামলায়?


    শুক্রবার হাসপাতালের সেমিনার হলে এক মহিলা চিকিৎসকের  দেহ পাওয়া যাওয়ার পর কলকাতায় তোলপাড় চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে সরকারি আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত একজন  ৩১ বছর বয়সী স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে যৌন হয়রানি ও হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আধিকারিকরা চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার হলে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর অর্ধ-নগ্ন দেহ উদ্ধার করেছে, যাতে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    ক্রমবর্ধমান জনতার  ক্ষোভের মধ্যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে রবিবারের মধ্যে যদি পুলিশ মামলাটি সমাধান না করে তবে তিনি মামলাটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করবেন।

    অন্যদিকে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিষয়টি সমাধানের জন্য সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন এবং অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন বলে জোর দিয়েছেন। তারা  বিচার বিভাগীয় তদন্ত, দোষীদের মৃত্যুদণ্ড, নিহতের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং হাসপাতালে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।

    সিবিআই-এর কাছে তদন্ত হস্তান্তরের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবগনামের নেতৃত্বে একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই পিআইএলগুলির শুনানি করবে।

    পোস্টমর্টেম রিপোর্টে কী আছে?


    রিপোর্টে হত্যা, মৃত্যুর প্রকৃতি এবং যৌন অনুপ্রবেশ সম্পর্কে কথা বলা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তরা তাকে দুবার শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। ভোর ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়।

    মদ খেয়ে অশ্লীল ছবি দেখার নেশা ছিল অভিযুক্তের


    অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে অভিযুক্ত অপরাধী সঞ্জয় রায় মদ্যপান করার সময় অশ্লীল ছবি দেখার আসক্ত ছিল। ঘটনার রাতে তিনি বেশ কয়েকবার হাসপাতালের ভেতরে এসেছিলেন। অভিযুক্তকে  জিজ্ঞাসাবাদ, পরিস্থিতিগত প্রমাণ ও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অনেক চাঞ্চল্যকর বিষয় বেরিয়ে এসেছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ এবং সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে এই পুরো মামলার টাইমলাইন প্রকাশ পেয়েছে।
  • Link to this news (আজ তক)