প্রথম বাঙালি বিচারপতির বাড়িতেই না কি মহিলা চিকিৎসক খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বসত!
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ আগস্ট ২০২৪
এক কালে যে বাড়িতে পা পড়েছে বাংলা তথা দেশের নামি - দামি মানুষের। যে বাড়ির ঠিকানা বললে এক নামে চেনে গোটা কলকাতা, সেই বাড়িই কি না আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনে অভিযুক্তের বাসস্থান! এই তথ্য সামনে আসতে অস্বস্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম বাঙালি বিচারপতি শম্ভুনাথ পণ্ডিতের আত্মীয়রা। তাঁর বাড়িতেই ভাড়াটে হিসাবে থাকত খুনি সঞ্জয় রায়। এমনকী ওই বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটেদের মধ্যে বেশ প্রভাবও ছিল তার।
পড়তে থাকুন - 'দেশটা কারও বাপের না', চতুর্থ দিন রাস্তা 'দখল', বাংলাদেশে গর্জন বাড়ছে হিন্দুদের
৫৫ বি শম্ভূনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের বাড়িটি আগেই হেরিটেজ ঘোষণা করেছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম বাঙালি বিচারপতির নামেই নামকরণ হয়েছিল তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তাটি। বিশাল বাড়ির একাংশ জুড়ে রয়েছেন বেশ কয়েক ঘর ভাড়াটে। তেমনই একটি ঘরে দীর্ঘদিন ভাড়া থাকে সঞ্জয়রা। এখনও সেখানে থাকেন তার মা।
১৮৬৩ – ১৮৬৭ সাল পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন শম্ভূনাথ পণ্ডিত। ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। এহেন ব্যক্তির ঠিকানায় ধর্ষক ও খুনির বসত মানতে পারছেন না তাঁর আত্মীয়রা। শম্ভূনাথ পণ্ডিতের আত্মীয় মমতা পণ্ডিত বলেন, শুনেছি এই বাড়িতে নামি - দামি মানুষদের যাতায়াত লেগেই থাকত। এরকম জঘন্য অপরাধের সঙ্গে সেই ঠিকানা জড়িয়ে গেল। ভাবলে খারাপ লাগছে।
হেরিটেজ ওই ভবনের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার অংশুমান সরকার বলেন, ‘আমি ওই ভবনে সমীক্ষা করতে গিয়েছিলাম। তখন সঞ্জয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। বেশ প্রভাবশালী মনে হয়েছিল ওকে। ভাড়াটেদের ওই নিয়ন্ত্রণ করত।’
৫৫ বি শম্ভূনাথ পণ্ডিত রোডের হেরিটেজ ভবনের ভাড়াটেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় নিজেকে পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দিত। এমনকী চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকাও তুলেছিল সে।