• আরজি কর কাণ্ডে মমতা ডেডলাইন বেঁধে দিতেই 'নিজেদের মান' বাঁচাতে ঝাঁপ পুলিশের!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • গতকালই আরজি কর কাণ্ডে পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, রবিবারের মধ্যে পুলিশ তদন্ত সম্পন্ন করতে না পারলে সিবিআইকে তদন্তভার হস্তান্তর করা হবে। এই পরিস্থিতিতে এবার পুলিশের তরফ থেকে এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিমের সদস্য সংখ্যা ৭ থেকে বাড়িয়ে ২৮ করা হয়েছে। এদিকে আরজি কর কাণ্ডের রাতে নির্যাতিতা যাঁদের সঙ্গে ডিনার করেছিলেন, সেই ৪ চিকিৎসক সহ মোট ৭ জনকে তলব করেছে পুলিশ। এরই সঙ্গে যে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন করে চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন, তাঁকেও জেরার জন্যে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    এর আগে আরজি কর কাণ্ডে গুজবে কান দিতে বারণ করে গতকাল এক দীর্ঘ পোস্ট করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সেই পোস্টে লেখা হয়, 'আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যে চিকিৎসক তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে, এই কঠিন সময়ে আমরা সর্বান্তঃকরণে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে আছি। এই ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ, শোক, রাগ অত্যন্ত স্বাভাবিক। বিশেষ করে চিকিৎসক সমাজের এবং মৃতার পরিজনদের। এই ক্ষোভ-শোক-ক্রোধের নতমস্তক শরিক আমরাও। এই যন্ত্রণা বর্ণনাতীত।' পুলিশের তফ থেকে দাবি করা হয়, 'আমাদের তদন্ত চলছে আন্তরিক সততা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে। এই নারকীয় ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি তথ্যপ্রমাণসহ। আরও কেউ ঘটনায় জড়িত ছিল কী না, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে। মৃতার পরিবারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে, এবং তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ তাঁদের জানাচ্ছি আমরা।'

    এরপর পুলিশের পোস্টে বলা হয়, 'একটি কথা সবিনয়ে বলার। সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিশেষত ফেসবুকে ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন অসত্য, অনুমাননির্ভর এবং বিভ্রান্তিকর তত্ত্ব ছড়িয়ে দিচ্ছেন নেটিজেনদের একাংশ। আমাদের আন্তরিক অনুরোধ, না-যাচাই-করা এই ধরণের তত্ত্ব, তথ্য বা গুজবে কান দেবেন না। এতে তদন্তের ক্ষতি হয়, ন্যায়ের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, এবং সর্বোপরি শোকগ্রস্ত পরিবারটি আরও বেশি করে যন্ত্রণাদগ্ধ হয়। আবার বলি, সততা, আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চলছে। কাল্পনিক তত্ত্ব এবং গুজব ছড়ালে সেই তদন্তেরই গতি ব্যাহত হয়। বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের বলি, আমরা বুঝতে পারছি আপনাদের শোক, সমর্থন করছি আপনাদের ন্যায়বিচারের দাবি। আপনাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বিশ্বাস রাখুন, যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। রাজ্যের মানুষকে জানাই, আমাদের তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে। কলকাতা পুলিশ যথাসাধ্য দ্রুততায় চার্জশিট জমা করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। ন্যায়বিচার হবেই। দ্রুতই হবে। না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না। ভরসা রাখুন।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)