• বদলির পর ন্যাশনাল মেডিক্যালেও ক্ষোভের মুখে সন্দীপ ঘোষ, বিস্ফোরক খোদ TMC বিধায়ক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • প্রবল চাপের মুখে আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়ান সন্দীপ ঘোষ। এরপর সাংবাদিকদের সামনে তিনি আরও দাবি করেন, তিনি তাঁর চাকরি থেকেই পদত্যাগ করছেন। তবে এরপরই সোমবার সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দীপ ঘোষকে কার্যত ক্লিনচিট দেন। সন্ধ্যা নাগাদ জানা যায়, সন্দীপকে আরজি কর থেকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে বদলি করা হয়েছে। এরপরই ন্যাশনাল মেডিক্যালের চিকিৎসকরা সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। সন্দীপ ঘোষ সেখানে কাজে যোগ দেওয়ার আগেই অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

    এদিকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আগে অনেকদিন এই হাসপাতালের এমএসভিপি ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। অনেকেই ওঁর উপর ক্ষুব্ধ থাকত। কারণ, তিনি একটা আলাদা স্টাইলে চলেন। সহজে চিকিৎসকরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। তবে তিনি এমএসভিপি হিসেবে ভালো কাজ করতেন। সন্দীপ ঘোষ এখানে অধ্যক্ষ হিসেবে আসায় আমরা অখুশি নই। তবে নজরদারি বাড়াতে হবে। আশা করি, আরজি করের মতো দুর্ঘটনা এখানে যাতে না ঘটে, সেব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।'

    প্রসঙ্গত, গতকাল চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সন্দীপ ঘোষ। নিজের পদত্যাগের ঘোষণা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সন্দীপ ঘোষ বলেন, 'এই ঘটনার নৈতিক দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করলাম। আমার নামে যে অপপ্রচার হয়েছে। নির্যাতিতা আত্মঘাতী হয়েছেন, এগুলো আমি কখনই বলিনি। আমার নামে মিথ্যা রটেছে। ডাক্তারদের মধ্যেও চোর ডাকাত রয়েছে, সেই মুখোশগুলো খুলে যাবে। আমি অর্থোপেডিক সার্জেন, আমার দুটো হাত রয়েছে, আমি কিছু করে খেতে পারব। আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, আমি বাবা হিসাবে পদত্যাগ করলাম।'

    এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, 'রাতে একা একা সেমিনার হলে থাকা উচিত হয়নি' নির্যাতিতা ট্রেনি চিকিৎসককে নিয়ে নাকি এমনই মন্তব্য করেছিলেন আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বহু পড়ুয়া এবং চিকিৎসক তাই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এছাড়াও এই গোটা ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বললেন, 'আর অপমানিত হতে পারছি না।' তিনি আরও বলেন, 'কেউ বাধ্য করেননি, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি।'

    সাংবাদিদের সন্দীপ বলেন, 'আমার ইস্তফাই ছাত্রছাত্রীজদের কাম্য ছিল। আশা করব, এ বার ছাত্রছাত্রী, জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজে ফিরবেন। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন মাধ্যমে আমি যে কটূক্তি সহ্য করেছি, আমার পরিবার, সন্তানেরা যা সহ্য করেছে, তাতে বাবা হিসেবে আমি লজ্জিত। তাই আমি পদত্যাগ করলাম। আশা করি আপানা ভালো থাকবেন। আমার মুখে কথা বসিয়ে রাজনীতির খেলা চলছে। বিরুদ্ধ গোষ্ঠী এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে। আমি কোনও দিন এ সব খেলা খেলিনি। আমি সরকারি কর্মচারী। শেষ মূপূর্ত পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করব। আশা করব, ছাত্রছাত্রীরা শীগ্রই কাজে যোগ দেবেন।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)