এই সময়, সোদপুর: আরজি করের নিহত ডাক্তারি পড়ুয়ার সোদপুরের বাড়িতে সোমবার এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইচবি টাউন পেরোতেই রাস্তার হাল দেখে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। পানিহাটি পুরসভাকে এ বিষয়ে নজর দেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী দিয়ে গিয়েছেন বলে খবর।পানিহাটি পুরসভা নিয়ে এমনিতেই মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। পুর এলাকার একাধিক রাস্তা বেহাল। নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। তাই একটু বৃষ্টিতেই পুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল দাঁড়িয়ে যায়। যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ জমে থাকা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা বারংবার এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
কিন্তু তাঁদের পুর পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। নাটাগড় মেন রোড, সিআর রোড, কৃষ্ণপুর রোড, ঘোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে আগরপাড়া যাওয়ার জন্য পিসি রোড, এইচবি টাউন, বিজয়পুর, আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোড, নীলগঞ্জ রোড-সহ পুর এলাকার একাধিক রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে আছে। সোমবার সোদপুরে এসে তা চাক্ষুষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন এইচবি টাউন মোড় থেকে এগোতেই বেশ কিছুটা অংশে রাস্তার বেহাল দশা দেখে মুখ্যমন্ত্রী রেগে যান বলে খবর। পরে তরুণী চিকিৎসকের বাড়ির সামনে পানিহাটি পুরসভার পূর্ত বিভাগের সিআইসি সোমনাথ দে-কে দেখতে পেয়ে এ নিয়ে কৈফিয়ত তলব করেন। সোমনাথের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী খারাপ রাস্তার জন্য উষ্মা প্রকাশ করেছেন। রাস্তার অবস্থা কেন খারাপ এবং কেন সংস্কার হচ্ছে না, তা জানতে চান। মুখ্যমন্ত্রীকে বলি পুরোটাই এখন কেএমডিএ দেখছে। তা শুনে মুখ্যমন্ত্রী পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।’
এ দিন ওই একই রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে প্রবল ঝাঁকুনিতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গাড়ি কিছুক্ষণের জন্য দাঁড় করান বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গাড়িতে বসেই মুখ্যমন্ত্রীকে কাউকে ফোন করতে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে পুর কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর দেখে গেলেন। আশা করি মুখ্যমন্ত্রীর কথায় কাজ হবে।’ আর এক বাসিন্দা শ্যামল দাস বলেন, অনেক বলেছি। কাজ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এ বার যদি সমস্যার সমাধান হয়।’