• 'সামথিং ইজ মিসিং', আরজিকর কাণ্ডে CBI তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের!
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • অর্ণবাংশু নিয়োগী: আরজিকর জনস্বার্থ মামলায় এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। বিচার দিতে হবে মৃতের পরিবারকে। তদন্তে তেমন কোনও অগ্রগতি নেই। প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা। তাই সময় নষ্ট করা যাবে না। সমাজে বিশ্বাস বজায় রাখা প্রয়োজন। একজন ডাক্তার মৃত্যু, তার পরেও সুপার, প্রিন্সিপাল চুপ। যেটা সন্দেহ জনক। এদিন এমনটাই বলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বেঞ্চ। নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। আদালতের পর্যবেক্ষণে হবে তদন্ত। 

    কেন একজন প্রিন্সিপ্যাল পদত্যাগ করল সেটা না খুঁজে রাজ্য তাকে অন্য পদে নিযুক্ত করেন। এত তাড়া কেন? সেটা বোঝা গেল না! জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রিন্সিপালের বয়ান আজ রেকর্ড করা হয়েছে। যখন মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, 'সামথিং ইজ মিসিং। এমন নয় দেহ রাস্তায় পড়ে আছে। সুপার, প্রিনোসপাল কেন অভিযোগ করলেন না? সেটা না করে প্রিন্সিপালকে পুরস্কৃত করছেন? (বিরক্ত হয়ে বিচারপতি বলেন আপনাদের কাছ থেকে কি শুনব!)' 

    রাজ্যকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, এটা আপনাদের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়। অমানবিক। দেহ কি রাস্তায় পড়ে ছিল? সুপার বা অধ্যক্ষ  অভিযোগ করেননি কেন ? আর কিছু বলতে হবে না। ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে এসেছে। অমানবিক। আরজিকরকাণ্ডে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য। মৃত্যুর কারণ আত্নহত্যা কীভাবে বলা হল? জানতে চান প্রধান বিচারপতি।

    একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, ডাক্তারদের কথা শুনতে হবে। আরও বলেন যে, প্রিন্সিপ্যালের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার এবং পদত্যাগ লেটার আজকের মধ্যে জমা দিতে হবে। তিনি পদত্যাগ পত্রে কী লিখেছেন তা দেখা দরকার। আদালতের কাছে কেস ডায়েরিও জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় আরজিকরের নির্যাতিতার পরিবার। আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চায় পরিবার।

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, পরবর্তী শুনানির দিন তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট দেবে রাজ্য। ৫ দিন পরেও তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেই। এখনই আদালতের উপস্থিত সিবিআই আধিকারিককে কেস ডায়রি হস্তান্তরের নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। ৩ সপ্তাহ পরে রাজ্যের রিপোর্ট তলব। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বিরল এবং ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায়। অথবা রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা যদি ব্যর্থ হয় তাহলে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া যায়। 

    মামলায় দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হলে রাজ্যের কোন আপত্তি নেই। প্রিন্সিপাল বা সুপার কেন মামলা দায়ের করলেন না সেটা বিস্ময়ের। সন্দীপ ঘোষ ইস্তফা দেওয়ার পরেও কেন তাকে সমান গুরুত্বপূর্ন পদে বসানো হল ? - প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। সন্দীপ ঘোষ ছুটির আবেদন করলে অবিলম্বে তা গ্রহন করতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে দ্বায়িত গ্রহণ করতে পারবেন না। 

    মৃতার পরিবার অভিযোগ করে, "আমার মেয়ে মারা গিয়েছে অনেক পরে। প্রথমে বলে আত্মহত্যা করেছে। আমরা হাসপাতালে গিয়েছি। ৩ ঘণ্টা আমাদের মেয়েকে দেখতে দেয়নি।" পরিবারের দাবি মেনে তাঁদের আবেদন গ্রহণ করে আদালত। তবে চিকিৎসকরা যাতে আবারও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা শুরু করেন তার জন্য আদালত অনুরোধ করছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)