আর জি কর মামলা: সন্দীপ ঘোষকে আড়ালের চেষ্টা কেন? ভর্ৎসনা হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ১৩ আগস্ট ২০২৪
গোবিন্দ রায়: আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন-খুনের ঘটনায় এবার আদালতের চাপের মুখে পদত্যাগী অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। কীভাবে পদত্যাগের চারঘণ্টার মধ্যে নতুন পদে নিয়োগ? কেনই বা তাঁর বয়ান রেকর্ড হয়নি? এমনই একাধিক প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) প্রধান বিচারপতি মামলার কেস ডায়রি তলব করেছেন। তাঁর নির্দেশ, দুপুর ১টার মধ্যে কেস ডায়রি জমা দিতে হবে আদালতে। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগপত্র এবং নতুন নিয়োগপত্রও দেখতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সেইসঙ্গে এই ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে উচ্চ আদালত। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। কারণ, তাঁদেরই এক সহকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে পরিবারের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) সওয়াল করেন, ”প্রথমে পরিবারকে বলা হয় যে আপনার মেয়ে অসুস্থ। পরে বলা হয়, সে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারকে তিনঘন্টা বসিয়ে রাখার দেহ দেখতে দেওয়া হয়। পুলিশের তরফ থেকে ফোন করে বলা হয় যে সর্বোচ্চ মহল থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনার মীমাংসা করে নিতে এবং কাউকে না বলতে। আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা জানিয়েছেন যে এই ঘটনা একজনের দ্বারা ঘটানো সম্ভব নয়।” মামলার তদন্তভার এখনই সিবিআই-কে দেওয়ার দাবি তোলে পরিবার। মামলাকারীর আইনজীবী প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ”গতকাল (সোমবার) সকালে প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করেছেন, বিকালেই তাকে নতুন দায়িত দেওয়া হয়েছে। এভাবেই তদন্ত হচ্ছে?” এসব শুনে প্রধান বিচারপতি কার্যত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ”এটা কিভাবে সম্ভব? সন্দীপ ঘোষ এতই প্রভাবশালী? পদত্যাগ করার চারঘন্টার মধ্যে তাকে ফের দায়িত্ব দেওয়া হল! আপনারা তাঁকে এভাবে পুরস্কৃত করতে পারেন না।” এর পর তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, ”সন্দীপ ঘোষের বয়ান রেকর্ড করেননি কেন? তিনি তো ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান। কেন তাঁকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন? কিছু একটা মিসিং আছে। আজ বিকাল তিনটের মধ্যে সন্দীপ ঘোষকে বলুন ছুটির আবেদন করে লম্বা ছুটিতে যেতে। নাহলে আমরা প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেব।”