• 'কলকাতার নাগরিক হিসেবে লজ্জিত', আরজি করে পৌঁছে মন্তব্য অপর্ণা সেনের
    এই সময় | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় বাংলা। মঙ্গলবার আরজি করকাণ্ডে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নারকীয় অত্যাচারে অভিযুক্ত অপরাধীর কঠোর সাজার দাবি রাজ্যজুড়ে। এর মাঝেই হাসপাতালে পৌঁছন অপর্ণা সেন, মীরাতুন নাহারের মতো বুদ্বিজীবীরা হাসপাতাল চত্বরে ঢুকতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা।কেন এত দেরি করে আরজি করে এলেন অপর্ণা সেন? কেন এত সিলেকটিভ আন্দোলনে অংশগ্রহণ? প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীদের একাংশের। যাঁরা বেশিরভাগই বাম সমর্থিত বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষোভের মাঝেই সাংবাদিকদের সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করেন অভিনেত্রী-পরিচালক। অপর্ণা সেন বলেন, 'আমার খুব শরীর খারাপ, তা সত্ত্বেও এখানে এসেছি। কারণ আমার মনে হয়েছে আসাটা দরকার।' তিনি আরও বলেন, 'কলকাতার নাগরিক হিসেবে আরজি করের এই ঘটনায় আমি লজ্জিত। আমি এখানে এসেছি কলকাতার নাগরিক হিসেবে। এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত প্রত্যেক নাগরিকের। ছাত্ররা যে দাবি করেছে, আমি তার সঙ্গে ১০০ শতাংশ একমত। আমি তাদের সমর্থন জানাতেই এখানে এসেছি। আমার দাবি, রাজ্য সরকার যত দ্রুত সম্ভব, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থা নিন যাতে সমস্ত মেয়েরা সুস্থ কর্মপরিবেশে নিরাপদে কাজ করতে পারে। সরকারি হাসপাতালে যখন এ ঘটনা ঘটেছে তখন সরকারকে এর দায় নিতে হবে। দোষীকে খুঁজে বের করতে হবে। কঠিন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।'

    অপর্ণা সেন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। 'সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কেন হাসপাতালে ঢোকার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে? এদের মধ্যে যত নষ্টামির বীজ লুকানো রয়েছে। কেন প্রথমে পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনা বলে দাগিয়ে দিল? মৃতার পরিবারকে ফোন করে কেন এ কথা বলা হয়েছিল? কার নির্দেশে জানানো হলো? ময়নাতদন্তের এত ব্যস্ততা কেন? এই হাসপাতালেই কেন ময়নাতদন্ত হলো?' কার্যত সরাসরি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এই অভিনেত্রী-পরিচালক।

    অন্যদিকে, আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলছে কর্মবিরতি। রাজ্যের অধিকাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটেছে, বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। এই মর্মে এ দিন আন্দোলনকারীদের কাছে অনুরোধ জানালেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'কর্মবিরতি মানে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা। আপানারা প্রতিবাদ করুন, আন্দোলন করুন কিন্তু, CBI তদন্তের নির্দেশ হয়ে যাওয়ার পরও কেন কর্মবিরতি? মুখ্যমন্ত্রীও সংবেদনশীল ভূমিকা পালন করেছেন। আপনারা দয়া করে অবিলম্বে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করুন। না হলে বহু সংখ্যক মানুষ বিপদে পড়বে।'
  • Link to this news (এই সময়)