• RG Kar নিয়ে কর্মবিরতির মধ্যেই বিরল গ্রুপের রক্তদান করে রোগীর জীবন বাঁচাল নার্স
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে খুনের প্রতিবাদে এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা বাংলা। জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মবিরতি করেছেন। যদিও চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। কিন্তু, আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য, অবিলম্বে তাদের দাবি মানতে হবে। তবেই তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন। এই অবস্থায় চিকিৎসকদের আন্দোলনের জন্য হাসপাতালগুলিতে রোগী পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেই আবহে ভিন রাজ্যের এক রোগীকে বিরল গ্রুপের রক্তদান করে জীবন বাঁচালেন হাসপাতালেরই এক নার্স। ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের।

    ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরাও আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর প্রতিবাদে কর্মবিরতি করছেন। তারই মধ্যে শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার গালুডির বাসিন্দা রেখা মাহাতো। তাঁর শরীর থেকে রক্তক্ষরণের ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে যায়। মহিলার রক্তের গ্রুপ হল ‘ও নেগেটিভ’। এই অবস্থায় হাসপাতালের তরফে মহিলার পরিবারকে দ্রুত রক্ত জোগাড় করতে বলা হয়। তবে ঝাড়গ্রাম জেলার তিনটি ব্লাড ব্যাঙ্ক ঘুরেও এই গ্রুপের রক্ত মেলেনি। বিষয়টি জানতে পেরে রক্তের খোঁজ শুরু করে ঝাড়গ্রাম জেলা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার ফোরাম। তার সম্পাদক চন্দন শতপথী অবশেষে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজেরই নার্স মৌসুমী ওঝার রক্তের গ্রুপ হল ‘ও’ নেগেটিভ। এরপরেই ফোরামের তরফে মৌসুমীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সমস্যার কথা জানানো হয় মৌসুমীকে। তা শোনার পরেই রক্তদানে এগিয়ে আসেন মৌসুমী।

    পরে ডিউটি শেষ করে তিনি ঝাড়গ্রাম ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দান করেন। তিনি জানান, তিনটি ব্লাড ব্যাঙ্কে ওই গ্রুপের রক্ত না থাকায় তাঁকে জানানো হয়েছিল। তা জানতে পেরেই তিনি রক্ত দিয়েছেন। এভাবে রক্ত দিয়ে একজনকে বাঁচাতে পেরে খুশি মৌসুমী।

    হাসপাতালের এমএসভিপি অনুরূপ পাখিরা মৌসুমীর প্রশংসা করে জানান, এখানকার নার্স মৌসুমী ওঝা নিজের রক্ত দিয়ে রোগীর জীবন বাঁচিয়েছেন। এটা একটা মহৎ কাজ।চন্দনবাবু জানান, প্রতিবাদ আন্দোলনের থাকার পরেও মৌসুমী যেভাবে রোগীকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন তা প্রশংসা করার মতো।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)