• কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল আন্দোলন, ছাত্র বিক্ষোভে পদত্যাগ করলেন উপাচার্য
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • আবার উপাচার্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠলেন পড়ুয়ারা। রীতিমতো ঘর আটকে ছাত্র ও কর্মচারীদের একটা বড় অংশের আন্দোলন আছড়ে পড়ল। আর তার জেরে সোমবার সন্ধ্যায় পদত্যাগ করলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক অমলেন্দু ভুঁইয়া। এই আন্দোলন করেন সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতি এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। আর নিজের পদত্যাগপত্র আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য। আজ, মঙ্গলবার এই কথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দেবাংশু রায়।

    এদিকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের দাবি, রাজ্যপালের মনোনীত এই উপাচার্যের সময়কালে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। ন্যাকের ভিজিট এখানে হয় না। এনআরআইএফের র‌্যাঙ্কিংয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এমনকী রাজ্য সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা নেওয়ার পরেও রাজ্য সরকারের সমস্ত নির্দেশ অমান্য করে চলেছেন এই উপাচার্য। তাই সকাল থেকে উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও শিক্ষা বন্ধু সমিতির সদস্যরা। বেলা বাড়তেই ঘরের দরজায় তালা দিয়ে উপাচার্যকে আটকে রাখা হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অস্থায়ী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে চালাতে পারছেন না।

    অন্যদিকে কর্মী এবং ছাত্রদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে উপাচার্য বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি ইয়াসিন জামান বলেন, ‘‌নিজের মতো করে স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছিলেন এই উপাচার্য। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে না এসে বাংলোয় বসে ফাইল সই করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন। তাই আমরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছিলাম।’‌ উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পড়ুয়ারা এবং তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক কর্মীরা। তারপরেই উপাচার্য অমলেন্দু ভুঁইয়া মেল মারফত আচার্যের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠান।

    এছাড়া এই পরিস্থিতিতে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে। উপাচার্য নিজেও পড়ুয়াদের এই কাজে সন্তুষ্ট নন। তাই উপাচার্য অমলেন্দু ভুঁইয়ার বক্তব্য, ‘‌আমার পদত্যাগপত্র রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছি। তার বেশি এখন কিছু বলতে পারব না।’‌ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওঠা গবেষিকাকে ধর্ষণের পুরনো অভিযোগও এই আন্দোলনের পিছনে থাকতে পারে। অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বিভাগীয় প্রধান করেছিলেন উপাচার্য। আবার অভিযোগকারিণীর চিঠি মেলার পরে আবার একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেন তিনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)