• কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা? অধ্যক্ষেরই তো খুনের অভিযোগ দায়ের করা উচিত ছিল: HC
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশের ভূমিকা। কেন পুলিশ ওই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের না করে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করল তা নিয়ে সরকারি আইনজীবীর যুক্তি প্রত্যাখ্যান করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। পুলিশের ভূমিকা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করলেন তিনি।

    মঙ্গলবার বেলা ১টায় মামলার কেস ডায়েরি নিয়ে আদালতে হাজির হন সরকারি আইনজীবী। মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার থেকে ময়নাতদন্ত পর্যন্ত ঘটনাক্রম সময় ধরে আদালতের সামনে বর্ণনা করেন তিনি। নিহত মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করতে দেরি হওয়ার জন্য হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভকে দায়ী করেন তিনি।

    মঙ্গলবার সকালে এই মামলার শুনানিতে কেন পুলিশ প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সরকারি আইনজীবী বলেন, কোনও দেহ উদ্ধার হলে সঙ্গে সঙ্গে কেউ পুলিশে খুনের কোনও অভিযোগ দায়ের না করলে পুলিশ নিজে থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাই দায়ের করে। সেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার অধীনেই দেহের সুরতহাল ও পোস্ট মর্টেম করা হয়ে থাকে।

    কিন্তু সরকারি আইনজীবীর এই যুুক্তি গ্রহণ করেননি প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, দেহটা রাস্তার পাশে পড়ে ছিল না যে পুলিশ একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে দায় সারবে। তখন সরকারি আইনজীবী বলেন, কেউ কোনও খুনের অভিযোগ না করলে পুলিশের কী করার আছে। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, এক্ষেত্রে অধ্যক্ষের অভিযোগ দায়ের করা উচিত ছিল। নইলে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত খুনের মামলা করতে পারত। কিন্তু তা করেনি।

    শুনানিতে সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, পুলিশ পরিবারকে নিহত চিকিৎসকের দেহের সুরতহাল রিপোর্ট দিয়েছে। পুলিশের ভূমিকায় মৃতের পরিবার সন্তুষ্ট। তখন মামলাকারীদের তরফে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে পরিবারের তরফে আদালতে মামলা করা হল কেন?
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)