• সহকারি সুপার–মেডিসিন বিভাগের প্রধানকে লালবাজারে তলব, খতিয়ে দেখা হচ্ছে ফুটেজ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় হয়তো ভিতরের কেউ আছে। মৃতা চিকিৎসকের বাবা–মা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে মৃতা চিকিৎসকের বাবা–মা যা বলে ছিলেন তা সমস্ত কিছুর নোট নিয়েছিলেন নগরপাল বিনীত গোয়েল। সবদিক খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার আজ, মঙ্গলবার মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ–খুনের ঘটনার তদন্তে লালবাজারে তলব করা হল আরজি কর হাসপাতালের চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান এবং সহকারি সুপারকে। আজ ১১টা নাগাদ লালবাজারে উপস্থিত হতেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ বলে সূত্রের খবর। ইনিই নির্যাতিতার পরিবারকে ফোন করে সব জানিয়েছিলেন।

    এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, সহকারি সুপার ছাড়াও আজ মঙ্গলবার তিন জুনিয়র ডাক্তার এবং একজন হাউস স্টাফকে তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তে নতুন কিছু পাওয়া যায় কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে ডাকা হবে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও। নিহত চিকিৎসকের মা–বাবা জানান, গত শুক্রবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের ফোন পান তাঁরা। অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ফোনে জানান, তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তারপর হাসপাতালে পৌঁছলে দু’ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তারপর মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়। মেয়ের কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন।

    অন্যদিকে গতকাল ৪৫ মিনিট নিহত চিকিৎসকের বাবা–মায়ের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারাই যুক্ত আছে তাদের প্রত্যেকের শাস্তি হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় প্রথম থেকেই কড়া অবস্থান নিয়ে দোষীর মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। কলকাতা পুলিশকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন। তা না হলে বিষয়টি তুলে দেবেন সিবিআইয়ের হাতে। তখন থেকে আরও তৎপর হয়ে ওঠে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। একমাসের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ। আর ওই দিন রাতে ডিউটিতে থাকা নার্স, নিরাপত্তারক্ষী ও গ্রুপ–ডি স্টাফদের তলব করা হয়েছে। তদন্তে গতি আনতে বাড়িয়েছে সিটের সদস্য সংখ্যাও।

    এছাড়া সিসিটিভি, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট–সহ সবটাই এখন রয়েছে পুলিশের হাতে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‌ওখানে নার্সরা ছিলেন। ওদের সুরক্ষাকর্মীরা ছিলেন। সবাই ছিল। তারপরেও এই ঘটনা কেমন করে ঘটল তা ভেবে আশ্চর্য হচ্ছি। ওর বাবা–মা আমাকে বলেছে এতে ভিতরের কেউ রয়েছে। কারও উপর সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই ঘটনার কিনারা করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেব।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)