আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে নিয়ে আগেই অভিযোগ করেছিলেন সুকান্ত, আগামিকাল পথে নামতে পারেন...
আজকাল | ১৪ আগস্ট ২০২৪
মিল্টন সেন, হুগলি: মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তারপরেই হুগলিতে এসে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এদিন চুঁচুড়া বালির মোড়ে আরএসএস এর বৈঠকে যোগ দিতে আসেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে যোগ দেন মঙ্গল পান্ডে, অমিতাভ চক্রবর্তী, সতিশ ধন্দ, দিলীপ ঘোষ, জ্যোতির্ময় সিং মাহাত সহ অনেকেই। সকাল নটা থেকে শুরু হয়ে বৈঠক। শেষ হয় বিকেল সারে পাঁচটায়।
বৈঠক শেষে কলকাতা বেরিয়ে যাওয়ার সময় সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'বিজেপির দাবি প্রথম থেকেই ছিল সিবিআই তদন্ত হোক। কিন্তু যে সময়টা নষ্ট হল, তাতে অনেক তথ্য প্রমাণ লোপাট হল। কারণ, আমরা ওই হাসপাতালে শুনতে পাচ্ছি ড্রাগ, সেক্স র্যাকেটের কথা। আমরা জানি না সত্য না মিথ্যা। তদন্ত হলেই সব সামনে চলে আসবে। হত্যাকাণ্ডের তো তদন্ত হওয়া উচিত। তার সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত। হাসপাতালের প্রিন্সিপালের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করা উচিত। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভূমিকা কী সেটাও দেখা উচিত।'
সুকান্ত আরও বলেন, 'পরিবারকে ফোন করা হয়েছিল মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে। আগামিকাল সবাই নামছে। আমিও দলীয় কর্মীদের আহ্বান করব আপনারাও পতাকা ছাড়া নামুন। আমিও সময় পেলে নামব প্রতিবাদে। আমি ছয় মাস আগে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলাম এই হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সম্পর্কে। যিনি দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। প্রত্যেকটা পয়েন্ট তুলে চিঠি দিয়েছি। এই প্রিন্সিপালের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কিসের মোহ, সেটার আগে তদন্ত হওয়া উচিত। আর জি কর থেকে সরিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের দায়িত্ত্ব দিয়ে দেওয়া হল। এই মোহটা কিসের। উনি কত বড় বৈজ্ঞানিক। এমন কী চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যেটা বিশ্বের কাছে সমাদৃত। এই ঘটনায় অবশ্যই কিছু আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ অবশ্যই প্রয়োজন'।