শোনা গিয়েছিল, মীরাতুন নাহার, সুজাত ভদ্র,সোহিনী সেনগুপ্ত, পল্লব কীর্তনীয়া, উদয় নারায়ন সরকারের সঙ্গে এই পদযাত্রায় অংশ নেবেন অপর্ণা সেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি তা করতে পারেননি। এরপর তিনি গাড়ি করে আর জি কর হাসপাতালে পৌঁছান। তাঁকে দেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বেশ কিছু সিপিএম সমর্থক। এরপর বিক্ষোভকারীদের মাঝে চলে যান অপর্ণা সেন। সেখানে কিছুক্ষণ বসেন। এরপর তিনি মাইক হাতে নেন। এবং তিনি তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত চান। তিনি বলেন, “কলকাতার নাগরিক হিসেবে আমরা লজ্জিত। আমি লজ্জিত।” অপর্ণার দাবি, রাজ্য সরকার যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থা নিন। যাতে মহিলারা সুরক্ষিতভাবে কাজ করতে পারেন। প্রশ্ন তোলেন সিসিটিভি ক্যামেরা যথেষ্ট নেই কেন? অপর্ণা দাবি করেন, যে যে সরকারি সংস্থায় মেয়েরা কাজ করছেন, তাঁদের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুরক্ষার ব্যবস্থা হোক। অভিনেত্রী তথা পরিচালক দোষীদের কঠিন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এরপর অপর্ণা প্রশ্ন তোলেন, এই সিভিক ভলেন্টিয়াররা কারা? তাঁদের কেন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে? এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ঢোকা বন্ধ করা হোক। পুলিশের জবাবদিহি করার প্রয়োজন আছে। কেন পুলিশ মৃতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেও এটাকে একটা আত্মহত্যার ঘটনা বলে ঘোষণা করল? কেন পুলিশ তড়িঘড়ি এত ব্যস্ত হয়ে উঠল ময়নাতদন্ত করার জন্য? কেন এই হাসপাতালে যেখানে এমন ঘটনা ঘটেছে সেখানেই কেন ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করতে বলা হল? এইসব প্রশ্ন আমাদের সকলের মনে উঠছে। এবং এইসব প্রশ্নের জবাব আমরা চাই। এই জবাব পাওয়ার অধিকার আমাদের আছে। আমাদের দাবি যে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এখানে তদন্ত হোক….. ছাত্র-ছাত্রীদের বলছি, “আমার কন্ঠ তোমাদের কণ্ঠের সঙ্গে মেলালাম।”