অন্যদিকে, এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আমাদের কাছে একটা আবেগ। সেটা ধরে রাখার দায়িত্ব ছাত্র পরিষদের কর্মীদের।” এরপরই কাকলির পথেই হাঁটেন রথীন। ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব এবং কর্মীদের তাঁদের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে জানিয়ে রথীন বলেন, “কলেজে ছাত্র ভর্তি করানোটাই কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীদের একমাত্র কাজ নয়। এটার বাইরে গিয়েও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখাটাও দলীয় ছাত্র পরিষদের কর্মীদের অন্যতম কাজ ও কর্তব্য। সংগঠনের প্রতিটি কর্মীদের ভালো মানুষ হতে হবে, জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।”
এরপরই বাগদা উপনির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরে রথীন বলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা বাগদায় মাটি কামড়ে থেকে প্রতিনিয়ত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। মানুষের সুবিধা, অসুবিধার কথা শুনেছেন, সেটা সমাধান করার চেষ্টা করেছেন। তার ফলে বাগদা পুনুরুদ্ধার করাটা সহজ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। এদিন কাকলি এবং রথীন যৌথ ভাবে ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীদের বুঝিয়ে দেন যে, কেবল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান করাই তাঁদের কাজ নয়। পাশাপাশি দাঁড়াতে হবে মানুষের পাশে, এগিয়ে আসতে হবে যেকোনো সামাজিক কার্য সম্পন্ন করতে।
উল্লেখ্য, কাকলি বরাবরই ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়ে বলেন, “কেবল যথাযথা পড়াশোনাই নয়, সমাজকে কিছু ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত অর্জিত পুঁথিগত শিক্ষা পূর্ণতা পায়না।” এদিনও ঠিক এই বার্তাই কাকলি দিলেন ছাত্র পরিষদকে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা দিবসে আয়োজিত জনসভার প্রস্তুতি নিয়েও দীর্ঘক্ষন আলোচনা হয় এদিন। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় প্রদত্ত ‘প্রবীণ-নবীন সহযোগিতা’র বার্তাকে মান্যতা দিয়েই এদিন কাকলি ও রথীন রাজনীতিতে নবাগত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীদের যথাযথ রাজনৈতিক উপদেশ দেন।