উল্লেখ্য,গত ৯ অগস্ট রাত পৌনে তিনটে নাগাদ অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়েছিলেন হবিবপুরের বিডিও অংশুমান দত্ত। সেই সময়ে চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন দীপাঞ্জন মণ্ডল। স্ত্রীকে গাড়ির ভেতরেই চিকিৎসা করতে হবে বলে দাবি করেন বিডিও। রোগিণীর শ্বাসকষ্ট থাকায় অক্সিজেনের প্রয়োজন থাকায় চিকিৎসা গাড়িতে দেওয়া সম্ভব নয় বলে ওয়ার্ডে স্ত্রীকে আনার কথা বলেন সরকারি চিকিৎসক। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিডিও ওই চিকিৎসককে চড়, ঘুসি মারার পাশাপাশি ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। দীপাঞ্জনের হাতের আঙুলে ও বুকে চোট লাগে। তিনি হবিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু ঘটনার তিন দিন পরেও বিডিওর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় সোমবার আন্দোলনে নামে আইএমএ। বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চেম্বার বন্ধ রেখে প্রতীকী ধর্মঘট পালন করে তারা। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের বক্তব্য জানান আইএমএ-র মালদা শাখার সভাপতি তাপস চক্রবর্তী ও সম্পাদক পীযূষ কান্তি মণ্ডল। তাঁরা বলেন, ‘আইসি ছুটিতে আছেন এই অজুহাতে দু’দিন পরে এফআইআর নেওয়া হয়েছে। বিডিওকে শাস্তিমূলক বদলির জন্য জেলাশাসককে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।’সন্ধ্যার আগেই অবশ্য নবান্নের নির্দেশে অভিযুক্ত বিডিওকে বদলি করা হয়।