• দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘‌কনসেন্ট’‌ পেল না সিআইডি, রাজ্যের ভূমিকা ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল স্কুলশিক্ষা দফতর। সিআইডি–কে কনসেন্ট না দেওয়ার ফলে স্কুলশিক্ষা দফতরকে ভরা এজলাসে কথা শুনতে হল। জেলা সহ–স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেমের বিষয় ছিল। আর সেই কাজ করার বিষয়ে খোদ সিআইডিকে কনসেন্ট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল স্কুলশিক্ষা দফতরকে। মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলে অন্যের নথি ব্যবহার করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। আর সেটা করেই নিজের ছেলেকে কয়েক বছর ধরে শিক্ষক হিসেবে বেতন পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই।

    সিআইডি যখন এই তদন্ত শুরু করে তখন চার্জ ফ্রেমের বিষয় ছিল। কিন্তু স্কুলশিক্ষা দফতরের কনসেন্ট না মেলায় তা থমকে যায়। এবার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিআইডি। তখন সিআইডি কলকাতা হাইকোর্টের ভরা এজলাসে জানিয়ে দেয়, স্কুল পরিদর্শকের ‌ বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করতে হলে স্কুলশিক্ষা দফতরের কনসেন্ট দরকার। কিন্ত বারবার আবেদন করা হলেও স্কুলশিক্ষা দফতর তাতে অনুমতি দেয়নি। যা শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করেন, ‘‌রাজ্য সরকারের তদন্তকারী সংস্থাও রাজ্যের অনুমতি পেল না! এআই–কে ধরতে দেবেন না বলেই কি অনুমতি দিচ্ছেন না? কেন রাজ্য অনুমতি দেয়নি সে বিষয়ে আগামী সোমবারের মধ্যে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে।’‌

    এমনিতেই শিক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নানা তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল। আর এই ঘটনায় সিআইডি–কে তদন্তভার দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদ জেলার গোথা হাইস্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ ছিল, ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে রাজ্যজুড়ে যত নিয়োগ হয়েছে, তার সব খতিয়ে দেখে কোথাও বেআইনি কিছু পেলে তদন্ত করবে সিআইডি। আদালত এই তদন্তভার তুলে দেয় গোথা স্কুলে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে গঠিত সিআইডির সিটের হাতেই। তার আগে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এই কনসেন্টের প্রশ্নে সিবিআই তদন্তে বাধা পেয়েছে বলে অভিযোগ।

    এমন ঘটনা যে ঘটেছে তা আগে জানতেই পারেনি কলকাতা হাইকোর্ট। শুনানির সময় সিআইডি’‌র বক্তব্য শুনে হতবাক হয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাও একই সমস্যার মুখোমুখি হবে এটা কল্পনাও করতে পারেননি বিচারপতি। তাই তিনি বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিস্ময় প্রকাশ করেন কনসেন্ট না মেলার ঘটনায়। এই বিষয়ে রাজ্যের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক বলেন, ‘আমরা আজ প্রথম এটা জানতে পারছি। আমরা এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাব।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)