• গুজরাতে অভিযান, ধৃত প্রথমপক্ষের স্বামী 
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে বারবার লোকেশন বদলেও লাভ হল না। গলার নলি কেটে বধূ খুনের ঘটনায় অবশেষে তাঁরই প্রথম পক্ষের স্বামীকে আমেদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করল আরামবাগ থানার পুলিস। গত ৯ আগস্ট তাকে আমেদাবাদের ফতেবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে সেখান থেকে আরামবাগে আসে তদন্তকারী দল। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ তহিদুল হক। তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকায়। 

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ জুলাই আরামবাগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনায়েতপল্লি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে সাবিনা বিবির (২৭) নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়। ঘরের মধ্যে তাঁর শিশুকন্যার কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এসে সাবিনার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। সেই ঘটনায় একটি সিসিটিভির ফুটেজ সামনে আসে। পরে পুলিস একটি তদন্তকারী দল গঠন করে। ওই ঘটনায় বধূর মা আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিভিন্ন সূত্র মারফত তদন্ত শুরু করা হয়। পুলিস জানতে পারে সাবিনার প্রথম পক্ষের স্বামী তহিদুল সেই সময় পলাতক রয়েছে। ফলে পুলিসের তাতে সন্দেহ হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বিভিন্ন লোকেশন পরিবর্তন করতে থাকে। প্রথমে কলকাতায় তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে পুলিস। যদিও কিছুদিনের মধ্যেই সে ট্রেনে চেপে মুম্বই পাড়ি দেয়। সেখানে মুম্বইয়ে এক আত্মীয়র বাড়িতে গা ঢাকা দেয়। তারপর সেখান থেকে কয়েকদিনের মধ্যে গুজরাতের আমেদাবাদে চলে যায়। সেখানে জরির কাজ জোগাড় করে আত্মগোপন করে তহিদুল। গত ৯ আগস্ট স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম আমেদাবাদে হানা দিয়ে তহিদুলকে পাকড়াও করে। 

    আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, অভিযুক্ত তিন চারদিনের মধ্যেই বিভিন্ন লোকেশন পরিবর্তন করতে থাকে। কিন্তু তদন্তকারীরা তার গতিবিধির দিকে নজর রাখছিলেন। একইসঙ্গে অভিযুক্তের ছবি রেল, সড়ক সহ বিমান পরিবহণ দপ্তরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে সাহায্য পাওয়া যায়। সাহায্য নেওয়া হয় মুম্বই পুলিসেরও। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা গিয়েছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কী কারণে খুন করা হয়েছে তার উত্তর খোঁজা হবে।  মৃত গৃহবধূর মামা গিয়াসুদ্দিন খান বলেন, ঘৃণ্যতম এই অপরাধের জন্য আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। কীভাবে খুন করা হয়েছিল বধূকে। কেন খুন করা হয়। সেই সব তথ্যের অনুসন্ধান শুরু করেছেন আরামবাগ থানার তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না পুলিস তাও খতিয়ে দেখছে।  ধৃতকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)