• ‘মুজিবের রাস্তা’ সংস্কারের কাজ চলছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি আঁকড়ে হৃদয়পুরের মানুষ
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হৃদয়পুর: বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের একের পর এক মূর্তি ভাঙা পড়ছে বাংলাদেশে। সেখানকার রাজপথে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মূর্তির টুকরো। মূর্তির মাথায় চড়ে তা ভাঙার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হচ্ছে। তাই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের কারিগরির ভাস্কর্য জামাতপন্থীদের উচ্ছৃঙ্খলতার শিকার হচ্ছে, যা দেখে মন খারাপ সীমান্তের এপারের মানুষও। সীমান্তের এপারে মুজিবুর রহমানের স্মৃতি আঁকড়ে রয়েছে স্বাধীনতা সড়ক। চাপড়া ব্লকের হৃদয়পুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মুজিবনগরের সংযোগকারী রাস্তা বঙ্গবন্ধুর সেই সংগ্রামের স্মৃতিচারণ করে। সেই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজও চলছে জোরকদমে, যা দেখে সুশীল সমাজের দাবি, বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে ভোলেনি পশ্চিমবঙ্গ।  

    প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা সড়কের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। সালটা ১৯৭১। তখন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার তৈরি হয়েছিল ভারতেই।‌ ভারত ও বাংলাদেশের সীমানার বৈদ্যনাথতলায় সরকার শপথ নিয়েছিল। আর তার নেতৃত্বে ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। তাদের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন সমর্থন করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। পরে ওই জায়গার নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। এবার সেই মুজিবনগর পর্যন্ত পাকা রাস্তা তৈরি করে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে চলেছে প্রশাসন। শোনা যায়,  সেইসময় আওয়ানি লিগের নেতা তাজউদ্দিন আহমেদ ও আমির উল ইসলাম বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন। তখন এই দুই নেতা বাংলাদেশের মুজিবনগর ও নদীয়ার হৃদয়পুরের রাস্তা দিয়েই প্রথমে কলকাতা ও পরে দিল্লিতে গিয়েছিলেন। 

    শনিবার সীমান্তের হৃদয়পুরে গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার সেই  রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে জোরকদমে। গ্রামের লোকজন একে ‘মুজিবের রাস্তা’ বলেই ডাকেন বলে শোনা যায়। সুতরাং ভারত ভূখণ্ডের সীমানাতেই জ্বলজ্বল করছে মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত স্বাধীনতা সড়কের নাম। 

    হৃদয়পুরের বাসিন্দা গোবিন্দ দাস বলেন, আমাদের অনেক পূর্বপুরুষ বাংলাদেশে ছিলেন। যে বঙ্গভূমি মুজিবুর রহমানের লড়াইয়ে স্বাধীন হয়েছে, সেই দেশের মানুষই আজ তাঁর মূর্তি ভাঙছে। এই দৃশ্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের বাড়ির সামনে রাস্তা দিয়ে স্বাধীনতা সড়ক গিয়েছে। এই রাস্তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত। তাই এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। 
  • Link to this news (বর্তমান)