• জলমগ্ন কৃষিজমি, আরামবাগে বাড়িতে ঢুকে পড়ছে কালাচ, চন্দ্রবোড়া
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আরামবাগ: বৃষ্টির জেরে আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন গ্রামে চাষের জমিতে জল জমে আছে। গর্তে জল জমে যাওয়ায় বেরিয়ে আসছে বিষধর সাপ। কখনও কখনও উঠোন বেয়ে বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে কালাচ বা চন্দ্রবোড়া। সাপের ছোবলে মৃত্যুর ঘটনাও আকছার ঘটছে। এতে মহকুমার গ্রামীণ এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

    আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, সাপের ছোবল খেয়ে অনেকেই আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এখানে এভিএস মজুত রয়েছে। সমস্ত ব্লক হাসপাতালেও এভিএস আছে। সর্পাঘাতের চিকিৎসার জন্য যা যা করণীয়, সবই করা হচ্ছে। তবে এসময় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

    নিম্নচাপের কারণে বুধবার রাত থেকে আরামবাগজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। এতে মহকুমার বিভিন্ন গ্রামে কৃষিজমিতে জল জমেছে। এই পরিস্থিতিতে নদীর বিভিন্ন বাঁধের উপর বিষধর সাপ ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। চাষিরা মাঠে গিয়ে বিষধর সাপের সামনে পড়ছেন। তাঁদের অনেককেই গামবুট পরে চাষের কাজে যেতে দেখা যাচ্ছে।

    মেডিক্যাল সূত্রে খবর, এক সপ্তাহে ১৫জনকে সাপে ছোবল মেরেছে। এর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কালাচ ও চন্দ্রবোড়া সাপের ছোবলেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কালাচ সাপই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ির ভিতর ঢুকে ছোবল মারছে। তাড়াতাড়ি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে না গেলে মৃত্যুর প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।

    খানাকুল থানার নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা হরিহর মিদ্যা বলেন, আগে বন্যার জল নিয়ে ভয় হচ্ছিল। আর এখন সাপ নিয়ে। প্রায়ই বাড়ির আশপাশে সাপের দেখা মিলছে। উঠোন বেয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ছে বোড়া সাপ। রাতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমোতে ভয় হচ্ছে। পঞ্চায়েতের তরপে ব্লিচিং পাউডারও ছড়ানো হয়নি। 

    চিকিৎসক অশোক নন্দী বলেন, সাপে কাউকে ছোবল মারলে তাঁকে তৎক্ষণাৎ সেই জায়গা থেকে সরিয়ে আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, সমস্ত সাপ বিষধর নয়।‌ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাহস জোগাতে হবে। ক্ষতস্থান দড়ি কিংবা কাপড় দিয়ে বাঁধা চলবে না। শরীরে কোনও শক্ত বাঁধন থাকলে তা খুলে দিতে হবে। কোনওরকম ওঝা, গুণিনের কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করা চলবে না। তড়িঘড়ি আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সেখানে এভিএস মজুত থাকে। এভিএস পেলে আক্রান্ত ব্যক্তি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)