• নিরাপত্তা চেয়ে সরব কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যালের ছাত্রীরা
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কলকাতায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পর কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া, চিকিৎসকরাও এখানকার নিরাপত্তার অভাবের কথা প্রকাশ্যে আনলেন। কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তা নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগের কথা বললেন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীরা। 

    ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই রাস্তাটিতে সন্ধ্যার পর থেকে কার্যত দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য চলে। সেখান দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানো হয়। মেডিক্যাল কলেজকে পিছনে রেখে মোবাইলে রিলস বানায় কিছু যুবক-যুবতী। সন্ধ্যার পর ছাত্রীরা বাইরে বের হলে তাঁদের বিভিন্ন কটূক্তির শিকার হতে হয়। ফলে বাইরে বের হতে গেলে কোনও না কোনও বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বের হতে হয়। মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে এখনও বেশকিছু নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে বহিরাগত প্রচুর শ্রমিক থাকেন। তাই সামগ্রিক নিরাপত্তার খাতিরে কলেজের ভিতরে আরও সিসি ক্যামেরা লাগানোর দাবি করেন তাঁরা। 

    এ নিয়ে গত সোমবার মেডিক্যাল কলেজের সামনে বিক্ষোভও দেখান পড়ুয়ারা। সেই সময়েই নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই বিষয়গুলি নিয়ে মূলত ছাত্রীরা ক্ষোভ উগরে দেন।

    এদিকে, মেডিক্যাল কলেজের এমজেএন ভবনেও চিকিৎসকদের বসার ঘরের দাবি জানানো হয়। 

    উল্লেখ্য, কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনটি পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে। সেখান থেকে প্রায় দুই কিমি দূরে এমজেএন ভবনে পড়ুয়াদের প্রতিদিন আসতে হয়। আর এই যাতায়াতের সময়েই তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তাটিতে বেশি করে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে জানান। 

    কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, তারা এ বিষয়ে পুলিসের সঙ্গে কথা বলেছে। কলেজের ভিতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করার জন্য বেশকিছু সিসি ক্যামেরা লাগানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ নির্মলকুমার মণ্ডল বলেন,  কলেজের সামনের রাস্তার বিষয়টি নিয়ে আমরা আগেই পুলিসকে জানিয়েছি। কলেজের ভিতরে শ্রমিকদের কাজ তো বন্ধ করা যাবে না। তবে শ্রমিকরা যাতে যেকোনও দিকে না চলে যায় সেদিকে নজর রাখা হবে। আরও সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এমজেএন ভবনে চিকিৎসকদের বসার ঘরের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সেই ঘরগুলি আগে দেখেও এসেছি। অনুমোদন এলেই সেগুলির সংস্কার করা হবে। তখন সেখানে চিকিৎসকরা বসতে পারবেন। 

    কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে বর্তমানে প্রায় ৫০০ পড়ুয়া চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ ছাত্রী। এই বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই সর্তক। কিন্তু, তা স্বত্তেও ছাত্রীদের মধ্যে কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে চলাচল করা নিয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই জায়গায় এখনই কোনও ব্যবস্থা প্রশাসন যদি গ্রহণ না করে তাহলে আগামী দিনে যেকোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 
  • Link to this news (বর্তমান)