• বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর জল, খাবারের আর্তি দুর্গতদের
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকে ক্রমশ বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। মুষলধারায় বৃষ্টির মাঝে ত্রিপলের তলায় দিন কাটছে দুর্গতদের। ভূতনিতে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে উত্তর চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায়। গোপালপুর পঞ্চায়েতের প্রায় তিনশো পরিবার ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। তবে, খাবারের অভাবে দুর্গতদের দিন দিন সমস্যা বাড়ছে বলে অভিযোগ। প্রশাসন শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করলেও সব জায়গায় পর্যাপ্ত দেওয়া হচ্ছে  না বলে দাবি দুর্গতদের।

    এরই মাঝে স্বস্তির খবর, মঙ্গলবার দুপুর দু’টো পর্যন্ত গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৫.০৬ মিটার, যা বিপদসীমার উপরে হলেও স্থিতিশীল। এদিন দুপুর থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে ভূতনি ও গোপালপুর এলাকায়। ভূতনির কেশরপুর বাঁধে ত্রিপলের নীচে বাস করছে প্রায় পাঁচশো পরিবার। বীরবল মাহাতো বলেন, ব্লক প্রশাসন আগে শুকনো খাবার দিলেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আর কিছু পাইনি। শিশুদের জন্য চিন্তা হচ্ছে। দুধের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। অন্যদিকে, গোপালপুর পঞ্চায়েতের প্রায় তিনশোটি পরিবার বিভিন্ন স্কুলে  রয়েছে। মঙ্গলবার আরও প্রায় ৪০টি পরিবার জলমগ্ন হওয়ার পর ত্রাণ শিবিরে গেলেও জায়গা হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় গৃহবধূ সুরাতুন বিবি বলেন, নদীর জল বাড়িতে ঢোকার পর ত্রাণ শিবিরে গেলেও জায়গা পাইনি। বৃষ্টির মধ্যে শিশুদের নিয়ে খোলা আকাশের নীচে রয়েছি। ত্রাণ শিবিরে থাকা সোনা বিবি, খলিলুর রহমানরা বলেন, গত দু’দিন শুধু জল খেয়ে বেঁচে রয়েছি। সোমবার বিকেলে খাবার এলেও দেওয়া হয়নি।

    মানিকচক ব্লক ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আধিকারিক পলাশ দাসের দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূতনির প্লাবিত এলাকার মানুষদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। কালুটোনটোলায় দুর্গতদের রাতে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। তবে গোপালপুরে সোমবার খাবার দেওয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা হওয়ায় মঙ্গলবার শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। না দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। 
  • Link to this news (বর্তমান)