• আগাছা ভরা ময়নাগুড়ি হাসপাতালে মশার উপদ্রব
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ঝোপঝাড়ে ভরেছে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের পিছনের অংশ। বৃষ্টি হলে হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে পড়ছে জল। মশার উপদ্রবে নাজেহাল রোগীও পরিজনদের। দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালের এই দশায় প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর স্বজনরা। 

    ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে সাতজন চিকিৎসক রয়েছেন। ভৌগোলিক কারণে ময়নাগুড়ি ব্লক ছাড়াও পার্শ্ববর্তী মালবাজার ও ধূপগুড়ির একটি অংশ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। কোচবিহার জেলার রানিরহাট থেকেও বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য আসেন। কিন্তু, জল জমে এবং আগাছার জেরে হাসপাতালে মশার উপদ্রব বেড়েছে। নাজেহাল রোগীর আত্মীয়স্বজনরা। রাতে অনেকেই হাসপাতালের প্রতীক্ষালয়ে থাকছেন। সেখানে মশার উপদ্রবে তাঁদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। আমগুড়ি থেকে আসা কপিন রায়, ব্যাঙকান্দি থেকে আসা বিশ্বজিৎ রায়দের স্ত্রীরা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। রবিবার তাঁরা হাসপাতাল চত্বরে দাঁ‌঩ড়িয়ে বলেন, স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি। তাই রাতে হাসপাতালের প্রতীক্ষালয়ে থাকতে হয়। দিনে-রাতে মশার উপদ্রবে টেকাই দায় হয়ে উঠেছে। আমাদের মনে হচ্ছে, হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত। 

    ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পিছনে তথা স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনের অংশ ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছে। আগাছায় ছেয়ে গিয়েছে হাসপাতাল। যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেগুলি সাফাই শুরু হয়েছে। 

    ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সীতেশ বর বলেন, ‘ঝোপ জঙ্গলের কারণে হাসপাতালে সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে হাসপাতালে সংলগ্ন কাউন্সিলাররা  আগাছা সাফাই করবেন বলে জানিয়েছেন। এগুলি পরিষ্কার হয়ে গেলে মশার উপদ্রব কমে যাবে।’ হাসপাতালপাড়া ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বরুণ ঘোষ বলেন, ‘আমরা আগাছা সাফাই শুরু করেছি। প্রচুর ঝোপঝাড় হয়ে গিয়েছে। সে কারণে কিছুদিন সময় লাগবে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)