• জোগান কম, বুকিং করে সিলিন্ডার পেতে কালঘাম ছুটছে বহু গৃহস্থের 
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আচমকাই রান্নার গ্যাসের ডেলিভারিতে সঙ্কট তৈরি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। গ্যাস বুকিং করলেও তা পেতে কালঘাম ছুটছে গৃহস্থের। রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রলিয়াম সংস্থাগুলির নির্দেশ আছে, কোথাও গ্যাসের ডেলিভারিতে বিলম্ব চলবে না। সমস্যায় ফেলা যাবে না গৃহস্থকে। তেমন তাহলে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটররা পেনাল্টির মুখেও পড়তে হতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ডিস্ট্রিবিউটররা বলছেন, তাঁরা নিরুপায়। কারণ, যথাসময়ে সিলিন্ডারের জোগানই এখন প্রশ্নের মুখে। তাই কোনও কোনও জায়গায় গ্যাস মিলছে বুকিংয়ের সাত-দশ দিন পর। কোথাও আবার তার চেয়েও বেশি সময় লাগছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্টই খারাপ, বলছেন গ্রাহকরা। তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাতেও কম-বেশি এই সমস্যা চলছে।

    এরাজ্যে ইন্ডিয়ান অয়েলের নিজস্ব বটলিং প্ল্যান্ট ছ’টি। সেগুলির কোনও না কোনওটিতে সঙ্কট চলছে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের হরেক দাবিদাওয়াকে কেন্দ্র করে থমকে থাকছে কাজ। প্রতিদিন যে সংখ্যায় গাড়িতে সিলিন্ডার ‘লোডিং’ হয়, কোথাও কোথাও তার চেয়ে অনেকটাই কম সংখ্যায় লোড হচ্ছে। আবার কোনও জায়গায় কাজ বন্ধ থাকছে পুরোপুরি। এসবের জেরে স্বাভাবিক জোগান থমকে থাকছে। 

    অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজনবিহারী বিশ্বাস বলেন, ইন্ডিয়ান অয়েলের বিভিন্ন প্ল্যান্টে শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে কারখানাগুলিতে ধীর গতিতে কাজ চলছে। ফলে আমরা সময়মতো সিলিন্ডারের জোগান দিতে পারছি না। ডেলিভারির ক্ষেত্রে কোথাও সাতদিনের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। 

    ইস্টার্ন ইন্ডিয়া এইচপি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জয় আগরওয়াল বলেন, আমরাও সার্বিকভাবে দেখতে পাচ্ছি, গড়ে দিন সাতেকের ‘ব্যাকলগ’ রয়েছে। অর্থাৎ গ্যাস বুকিংয়ের পর সাতদিন পেরিয়ে যাচ্ছে গ্যাস পেতে। এখানে কলকাতা ও পানাগড়—এই দু’টি কারখানা থেকে গ্যাস রিফিলিং হয়। সেখানে গ্যাসের জোগানে ঘাটতিই এর অন্যতম কারণ। সমস্যা মিটবে কবে? এই বিষয়ে গ্যাস সংস্থাগুলি অবশ্য কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি। 

      
  • Link to this news (বর্তমান)