• সিসি ক্যামেরার জন্য ২৪ মেডিক্যালকে ৫ লক্ষ করে সাহায্য, অবশেষে টনক নড়ল স্বাস্থ্যভবনের
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাসপাতালের ভিতর ভয়াবহ খুন-ধর্ষণের পর অবশেষে টনক নড়ল স্বাস্থ্যদপ্তরের। অভিযোগ, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে থাকা চার ভাগের এক ভাগ সিসিটিভি’ই খারাপ অবস্থায় বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। কম বেশি এক অবস্থা কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তার পরপরই রাজ্য সিদ্ধান্ত নিল, বাংলার সবক’টি মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভি ব্যবস্থা ঢেলে সাজা হবে। মেডিক্যাল কলেজ পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দপ্তর। সবমিলিয়ে এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে এর জন্য।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় বর্ষের তরুণী চিকিৎসকের দেহ যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়, সেই চেস্ট মেডিসিনের সেমিনার রুমে কোনও সিসিটিভি ছিল না। এক পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, বিভাগে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি বসানো হয়ে গিয়েছে। অ্যাকাডেমিক বাড়ির লাইব্রেরি, এমআরইউ প্রভৃতি বিভাগে সিসিটিভি খারাপ হয়ে পড়ে আছে। সেখানেও বসানো হবে।  

    ওই নৃশংস খুন-ধর্ষণের ঘটনার পর প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঘটনার রাতে চেস্ট মেডিসিনে কর্তব্যরত দুই নিরাপত্তারক্ষী ঘুমোচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। দু’জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, এখানে ২০৬ জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী আছে। থাকা উচিত ২৬০ জনের মতো। মানে ৫০ জনেরও বেশি বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর অভাব রয়েছে। আউটপোস্টের পুলিস, সিভিক ভলান্টিয়ারের সংখ্যার হিসেব ধরলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

    একদা বাংলা তথা দেশের অন্যতম প্রাচীন ও ধন্বন্তরি চিকিৎসকদের কাজের জায়গায় এই মেডিক্যাল কলেজের ভিতর ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ঘিরে দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, কর্মবিরতি। এমনই এক পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক শুরু হয়। সেখানে ঘাটতি মেটাতে অবিলম্বে আরও ৫০ জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

    হাসপাতালে কোথায় কোথায় নিরাপত্তারক্ষী এবং সিসিটিভির অভাব রয়েছে, তা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে পূর্তদপ্তরের আধিকারিকদের। বৈঠকে হাসপাতাল প্রশাসনকে প্রত্যেক রোগীর জন্য পরিচয়পত্র তৈরির উদ্যোগ নিতেও বলা হয়েছে। চিকিৎসকদের জন্যও একটি আধুনিক পরিচয়পত্র তৈরি করারও সিদ্ধান্ত হয়। এখানকার নবনিযুক্ত অধ্যক্ষা ডাঃ সুহৃতা পাল বলেন, ‘সিসিটিভি, পরিচয়পত্র, নিরাপত্তা বাড়ানো প্রভৃতি বিষয়ে কতগুলি জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)